মাধ্যমিক : রাজ্যে ১২তম স্থান মামূন ন্যাশনাল স্কুলের

নিজস্ব সংবাদদাতা : এবছরও মাধ্যমিকে চমকপ্রদ সাফল্য পেল বিশিষ্ট ঐতিহাসিক গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেব (র:) প্রতিষ্ঠিত মামূন ন্যাশনাল স্কুল। তার হাত ধরেই যে সাফল্য এই বিদ্যালয় দেখিয়ে এসেছে সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখল এই বিদ্যালয়। রাজ্যে মোট প্রায় ১০ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে দ্বাদশতম স্থান অর্জন করেছে এই বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সাইফুল্লাহ আলি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪ (৯৭.৭১%)। তার বাড়ি বীরভূম জেলার পাইকর থানার অন্তর্গত বুলচাঁদপুর গ্রামে। পিতা আহমদ আলি আরবির শিক্ষক। মা রহিমা বিবি গৃহবধূ।

    দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্রী মরিয়ম বেগম। কৃতি এই ছাত্রীর প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪ (৯৬.২৮%) তার পিতা রফিকুল ইসলাম একজন গ্রামীণ চিকিৎসক। তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামে।
    সামগ্রিকভাবে এই বিদ্যালয়ের ফলাফল অত্যন্ত চমকপ্রদ। এবছর বিদ্যালয়ের মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২৮ জন (বালক ৭৪ বালিকা ৫৪)।
    ১২৮ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৯০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৩১ জন, ৮৫% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৬৪ জন, ৮০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ৯৩ জন, ৭৫% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ১০৯ জন এবং ৬০% বা তার বেশি নম্বর পেয়েছে ১২৮ জন। এই সাফল্যে আনন্দের ঢল নামে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।
    কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান জনাব মোস্তাক হোসেন সাহেব। পাশাপাশি তিনি তাদের উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ কামনা করেছেন। তিনি আরো বলেন শুধু মার্কস দিয়ে নয়, মানবিকতা দিয়ে তাদেরকে এবং সংখ্যালঘু সমাজকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নিরন্তন যে প্রচেষ্টা তা অব্যাহত রাখতে হবে। এ দায়িত্ব শিক্ষক ও স্কুল পরিচালকবৃন্দের।
    ছাত্র-ছাত্রীদের এই সাফল্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের সম্পাদক জনাব কাজী মহা. ইয়াসিন সাহেব। তিনি বলেন “আমি ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যে খুবই আপ্লুত। শিক্ষক-শিক্ষিকাগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই ধরনের সাফল্য আমাদেরকে উদ্বেলিত করে। বিদ্যালয়ের সেই সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ”।
    এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ-এর সকলের সাহায্য ও সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।