উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হল মহুয়া দাসকে

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: প্রথম স্থানাধীকারীর পরিচয় দিতে গিয়ে ধর্মের কথা উল্লেখ, পরীক্ষা না হওয়া সত্ত্বেও ফলপ্রকাশের পর থেকে একাধিক জায়গায় পড়ুয়াদের বিক্ষোভ, মূলত এই দুই কারণের জেরেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হল মহুয়া দাসকে। তাঁর জায়গায় সংসদের নতুন সভাপতি হলেন যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আগামী চার বছরের জন্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে সংসদের নতুন সভাপতি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী সোমবার থেকে সংসদের সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্বভার বুঝে নেবেন তিনি।

    উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার সময় প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর ধর্মীয় পরিচয় উল্লেখ করায় সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সংসদের চেয়ারপার্সন মহুয়া দাস। এরপরই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ হয় বিভিন্ন জায়গায়। সংসদের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরাও। তাঁদের দাবি ছিল, মহুয়া দাসের এই কাণ্ডে গোটা শিক্ষক সমাজের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। মহুয়াদেবীর পদত্যাগ দাবি করে শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে বিধাননগর দক্ষিণ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগও দায়ের করার কথা জানিয়েছিলেন তাঁরা।

    এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর জেলায় জেলায় পাশের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ছাত্রছাত্রীরা। পরিস্থিতি বুঝে মহুয়া দাসকে নবান্নে তলব করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। উচ্চ মাধ্যমিক ফল প্রকাশের পরেই রাজ্যের একাধিক জেলায় বিক্ষোভ দেখায় অনুত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা। পড়ুয়াদের পাশপাশি সরব হয়েছে তাঁদের পরিবারও। একাধিক জায়গায় রাস্তা অবরোধ করেও চলে বিক্ষোভ।

    এরপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, উচ্চ মাধ্যমিকের সব পরীক্ষার্থীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। বাস্তবে হয়ও তাই। মাধ্যমিকের মতোই উচ্চ মাধ্যমিকেও পাশের হার ১০০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তাতেও মহুয়া দাসের উপর ক্ষুব্ধই ছিল নবান্ন। সেই সূত্রেই তাঁর অপসারণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শীঘ্রই যেন চিরঞ্জীব দাসকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। সেই সবুজ সঙ্কেত নিয়েই সোমবার থেকে নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি।