জামিন পেলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে মূল অভিযুক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা : জামিন পেলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে মূল অভিযুক্ত। সেই খবর পেতেই শুরু হয়েছে ঝামেলা। জামিনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে আগরপাড়া। পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত। তিনিই সোমবার হাইকোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। জামিন পাওয়ার প্রতিবাদেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তৃণমূলের একাংশ। উত্তর ২৪ পরগনার আগরপাড়ায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয় রাতেই। টায়ার জ্বালিয়ে বিটি রোড অবরোধ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সিবিআই তদন্তের দাবিও শোনা যায় উত্তেজিত জনতার মুখে। তৃণমূলের পতাকা হাতে সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে আঙুল উঁচিয়ে বচসার ছবিও ধরা পড়ে।১৩ মার্চ পানিহাটিতে অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। বাইকে বসা অবস্থায় পিছন থেকে এসে খুন করা হয়। সেদিনই ধরা পড়েছিল অভিযুক্ত। ‘আমরা আসামীকে ধরে দিয়েছি। আপনারা ধরেননি।’ এমনও বক্তব্য শোনা যায় উত্তেজিত জনতার মুখে। গত পুরভোটের ফল বেরনোর কয়েকদিন পর, গত ১৩ মার্চ, পাড়ার দোকানের সামনে স্কুটারে বসা অবস্থায় পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় শ্যুটার অমিত পণ্ডিত। মূল ষড়যন্ত্রকারী অমিতেরই আত্মীয় বাপি পণ্ডিত-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এই মামলায় চার্জশিটও জমা দেয় পুলিশ। কিন্তু সোমবার অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিতকে জামিন দেয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। রাত সাড়ে নটা নাগাদ টায়ার জ্বালিয়ে বিটি রোড অবরোধ হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলেও, বিক্ষোভ তুলতে ব্যর্থ হয়। নিহত প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের দাদা সরাসরি ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। তৃণমূল বিধায়ক ও সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘বিচার ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তো কিছু বলা যায় না। যিনি বেল দিলেন, সেটা বিচারক বলতে পারবেন। অনুপম জনপ্রিয়। রাজ্য পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই। বেল তো দিয়েছেন বিচারক।’ বিক্ষোভ চলার মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর মীনাক্ষি দত্ত। তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরইসঙ্গে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের শ্যালিকা প্রিয়ঙ্কা দাস। তিনি বলেন, ‘আমার মা বলল দিদি বাচ্চা দুটোকে নিয়ে গলায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছে। বাপি পণ্ডিতের জামিন শুনে এই কাজ করতে গিয়েছে।’

    প্রায় দেড় ঘণ্টা পর, রাত ১১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে।