দলিত যুবকের সাথে প্রেম করাই মেয়ের মাথা ফাটিয়ে খুন, গ্রেফতার পিতা সহ দুই ভাই

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক : দলিত যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল বাড়ির মেয়ের। এ হেন সম্পর্ক মানতে কোনও ভাবেই রাজি ছিল না মেয়েটির পরিবার। ফলে ভালবাসার মাসুল গুনতে হয়েছে কিশোরীকে। এমন ‘অপরাধ’-এর জন্য কিশোরীকে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলেছে তার বাবা এবং দাদারা। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে মেয়ের মাথা থেঁতলে তাকে খুন করেছে বাবা। বোনকে মারতে কাকাকে সাহায্য করেছে কিশোরীর দুই তুতো দাদা। এমন নৃশংস ঘটনা ঘটেছে কর্নাটকে। সেখানকার রামনগর জেলার বেত্তাহাল্লি গ্রামে ঘটেছে এমন কাণ্ড, যা শুনে শিউরে উঠেছেন দুঁদে পুলিশ কর্তারাও।

     

    পুলিশ সূত্রে খবর, দিন ছয়েক আগে কিশোরিকে খুন করে মাগাদি তালুক এলাকায় দেহ ফেলে রেখে যায় তার পরিবারের লোকজন। কিশোরীর দেহ উদ্ধারের পর মৃতার বাবা এবং দুই তুতো দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোরীকে খুন করে দেহ পরিত্যক্ত জায়গায় ফেলে রেখে আসার ঘটনা ধামাচাপা দিতে পুলিশের কাছে সবটা বেমালুপ চেপে গিয়েছিল পরিবার। উল্টে থানায় মিসিং ডায়েরি লিখিয়েছিল মেয়েটির পরিবারের লোকেরা। গত ৯ অক্টোবর কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেছিল অভিযুক্তরা।

     

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার বয়স সবে ১৮ বছর হয়েছিল। বিকম-এর ছাত্রী ছিল সে। যে দলিত যুবকের সঙ্গে যে সম্পর্কে জড়িয়েছিল তার বয়সও মাত্র ২০ বছর। পুলিশ জানিয়েছে, ৯ তারিখ মিসিং ডায়েরি দায়ের হওয়ার পর তদন্তে নামে তারা। ১০ তারিখ কিশোরীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একটি কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় কিশোরীর দেহ। দেহ উদ্ধারের পর কিশোরীর প্রেমিকের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে তার পরিবার। তবে সন্দেহ হয় পুলিশের। এবং তদন্তের সাপেক্ষে তারা জানতেও পারে যে ওই যুবক নির্দোষ। এরপর সন্দেহের বশেই কিশোরীর বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন পুলিশ আধিকারিকরা।

     

    তদন্তকারীদের কড়া জেরার মুখে ভেঙে পড়ে কিশোরীর বাবা। নিজের অপরাধ স্বীকার করে সে। জানায় এ কাজে তাকে সঙ্গ দিয়েছিল দুই ভাইপো। পুলিশকে জেরায় ওই তিন অভিযুক্ত জানিয়েছে, বাড়ির কাছে একটি ঝোপে কিশোরীকে নিয়ে গিয়েছিল তারা। তারপর ভারী পাথর বা বোল্ডার জাতীয় জিনিস দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয় কিশোরীকে। এরপর একটি কুয়ো জাতীয় গর্তে দেহ ফেলে মুখটা মাটি চাপা দিয়ে চলে আস তিন অভিযুক্ত।

     

    গ্রামবাসীদের কয়েকজনের কথায়, ওই গর্ত থেকে ক্ষীণ আওয়াজ, গোঙানি শুনেছিলেন তাঁরা। অর্থাৎ মাথায় আঘাত পরেও খানিকক্ষণ বেঁচে ছিল কিশোরী। বাঁচার শেষ চেষ্টাটুকু করেছিল সে। কিন্তু সেই আর্তি পৌঁছয়নি কারও কানে। তবে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর একথা শুনে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপর ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ