কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিলুফা ইয়াসমিন এর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে প্রায় ২কোটি টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল

 

    নতুন গতি,মালদা ২২ এপ্রিলঃ কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিলুফা ইয়াসমিন এর বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজে প্রায় ২কোটি টাকার আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল। পঞ্চায়েতের একাধিক সদস্য স্থানীয় বিডিওর কাছে এই অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে বিডিও তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। অভিযোগটি উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত প্রধান নিলুফা ইয়াসমিন। উল্টা প্রধানের অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যরাই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন স্কিমের টাকা চুরি করার চক্রান্ত করেছিল। সেই চক্রান্ত আমি তাদের সঙ দিচ্ছি না বলেই ওরা জোটবদ্ধভাবে আমার বিরুদ্ধে দুর্নাম করার চেষ্টা করছে‌।

    কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এর বিরুদ্ধে মূলত ১০০ দিনের কাজের সবজি চাষ বৃক্ষরোপণে প্রকল্পে কোন প্রকার সবজি না লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েতের কিছু অসাধু কর্মচারীদের সাহায্য এই দুর্নীতি প্রধান ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যদের।পঞ্চায়েতের ১২ জন সদস্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন যত শীঘ্র সম্ভব তাদের অভিযোগের তদন্ত করে প্রধানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অভিযোগের প্রতিলিপি জেলাশাসক, জেলা পঞ্চায়েত গ্রাম উন্নয়ন আধিকারিক , ওএম জি এন আর ই জি এস প্রকল্প অফিসার কে প্রদান করেছেন। যে সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রধানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন তারা হলেন নাইলা বিবি, কবিতা দাস, রূলেখা বিবি , হাসিনা পারভীন, জৈনুব খাতুন, জাহাঙ্গীর আলম, সেতাব উদ্দিন শেখ, আব্দুস সাইম, এনামুল হক, সহ অন্যান্যরা।

    পঞ্চায়েত সদস্য নাইমা বিবি জানিয়েছেন “প্রধান নিলুফা খাতুন আমাদেরকে গুরুত্ব না দিয়ে সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছামত কিছু পঞ্চায়েতের কর্মচারীকে হাতে করে ১০০ দিনের কাজের ভুয়া মাস্টাররোল তৈরি করে সব টাকা আত্মসাৎ করছে।”
    অভিযোগ পেয়ে কালিয়াচক ২ নম্বর ব্লকের বিডিও সঞ্জয় ঘিসিং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।যদিও মোথাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিযুক্ত প্রধান নিলুফা ইয়াসমিন জানান এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা পঞ্চায়েতের সবাই মিলে আলোচনার ভিত্তিতেই একসাথে কাজ করি। ওদের কথা মত আমি পুকুর চুড়িতে সাহায্য না কড়াই উল্টে ওরাই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। যারা যারা অভিযোগ করেছেন তাদের প্রত্যেকের স্বামী বা স্ত্রীর নামে সবজি চাষ ও ফুল চাষের স্কিম আছে। তারাই এই প্রকল্পগুলিকে গোটা স্কিমটি ভুয়া মাস্টার রোল তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছিল ।আমি বাধা দেওয়ায় উল্টে ওরা আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে প্রয়োজন হলে আমিও অভিযোগকারী পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে আদালতে যাব।