|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক:- একদিকে তিনি দলের সুপ্রিমো। অন্যদিকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। জেলা সফরের দ্বিতীয় দিনে দ্বৈত ভূমিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে জোড়া কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রথমে মেদিনীপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচি। বিকেলে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক সভা। প্রথমে বেলা সাড়ে বারোটায় মেদিনীপুর শহরে কলেজ ময়দানে সভা করবেন রাজনৈতিক কর্মীসভা। দলীয় কর্মী সভা সেরেই তিনি রওনা দেবেন ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে। করবেন প্রশাসনিক বৈঠক। বিধানসভা নির্বাচনের পর এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর সফর। তাই দলীয় কর্মীসভাকে ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তুঙ্গে। নেত্রী কী বার্তা দেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কর্মী সমর্থকরা।অন্যদিকে জেলা সফর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলেন সেই দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। গতকাল, মঙ্গলবার, পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলা প্রশাসনিক বৈঠক থেকে একদিকে যেমন রাজ্যে প্রচুর নতুন নতুন বিনিয়োগের কথা উল্লেখ করেন, সরকারি কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন৷ পাশাপাশি ফের পূর্ত দফতরের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশও করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে। গতকালই, মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, মেদিনীপুর টাউনকে আরও পরিষ্কার করতে হবে। আরও গাছ লাগাতে হবে।প্রতিটা জায়গায় ফুটপাত করতে হবে। তাহলে ধুলো উড়বে না’।কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে বারবারই সুর চড়ান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেদিনীপুরের রাজনৈতিক কর্মীসভা থেকে একদিকে যেমন রাজনৈতিক আন্দোলনের দিশা দেখাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো, পাশাপাশি তাঁর আক্রমণের মূল নিশানায় যে থাকবে দিল্লির সরকার তথা বিজেপি, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। চব্বিশে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের উন্নয়নের গতি না থামানোর যেমন নির্দেশ দিচ্ছেন৷ তেমন দলের নেতা- কর্মীদের মনোবলকেও চাঙ্গা রাখতে, দলীয় শৃঙ্খলা মেনে পথে নেমে প্রতিবাদের বার্তা দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনই মত ওয়াকিবহাল মহলের।