মমতাকে ডাকাত রানী ,কেন্দ্র সরকারকে গরু পাচারের সহায়তাকারী বলে কটাক্ষ মহম্মদ সেলিমের

শুভ চক্রবর্তী, ঘাটাল:চিরাচরিত প্রথা ভেঙে ব্যাঙ্গাত্মক চিত্র আর কার্টুনে ভর করে জনসংযোগে জোর দিল বাম।

    মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের সোনাখালীতে বামেদের আয়োজিত জনসভার প্রাঙ্গণটি ভরে উঠলো একাধিক ব্যঙ্গচিত্রের পোস্টার আর ব্যানারে। কোথাও রাবণের দশ মাথার অনুকরণে মমতাকে প্রধান মাথা করে ব্যঙ্গচিত্র আবার কোথাওবা দুর্নীতির আর্থিক পরিমাণকে সামনে রেখে একাধিক নেতার ব্যঙ্গচিত্র। এমনই একাধিক পোস্টারে ভরে উঠলো সোনাখালী স্কুল প্রাঙ্গণ যেখানে জনসভার প্রধান বক্তা ছিলেন মোহাম্মদ সেলিম।

    একই রকম পরিবর্তন দেখা গেল বাম জনসভায় নেতাদের বক্তৃতার মধ্যেও। উন্নয়ন কৃষি শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের বক্তব্য থেকে কিছুটা সরে এসে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল প্রবীণ বাম নেতা সুশান্ত ঘোষ থেকে শুরু করে বাম পলিটব্যুরো সদস্য সেলিমকেও।

    আগে তৃণমূলের সমস্ত পোষ্টারে মমতা দিদির ছবি থাকত।এখন আর সেই ছবি থাকে না কারণ তৃণমূল নিজেও বুঝে গেছে এখন ওই মুখ দেখলে আর ভোট আসবে না। জনসভার মঞ্চ থেকে এভাবেই শাসক দলকে তীব্র ভাষায় বিঁধলেন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর সদস্য মোহাম্মদ সেলিম।

    গরু পাচার ইস্যুতেও কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারকে আক্রমণের মুখে ফেলেন এই প্রবীণ নেতা।

    সেলিম বলেন বিএসএফ আর রাজ্য পুলিশ এককাট্টা না হলে কখনো গরুপাচার সফল হয়না।আসলে তলে তলে সব এক।

    আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাহলে কি এবার লাল শিবির প্রচার এবং জনসভার পদ্ধতিটাই আমুল পাল্টে ফেলতে চাইছে? তবে কি চিরাচরিত মেদ ঝরিয়ে নব রূপে সামনে আসতে চাইছে আলিমুদ্দিন?