|
---|
পল মৈত্র, দক্ষিন দিনাজপুরঃ শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রথমে সদর শহর বালুরঘাট ও পরে গঙ্গারামপুরে একসাথে দুই জায়গাতেই বালুরঘাট লোকসভা ৬ নং কেন্দ্রের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ এর সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। এই নিয়ে এই সপ্তাহে তিনি জেলায় জেলায় দ্বিতীয় বার নির্বাচনী জনসভা করলেন। এদিন বালুরঘাটে দুপুর একটা নাগাদ নির্বাচনী জনসভা প্রথমে করেন তারপরে তিনি হেলিকপ্টারে চড়ে অর্পিতা ঘোষ এর সমর্থনে একই সাথে গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামে দুপুর দুটোয় জনসভাটি সম্পন্ন করেন এরপরই তিনি বহরমপুরে নির্বাচনী জনসভা করার জন্য হেলিকপ্টারে চড়ে রওনা দেন। এদিন প্রথমে জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বক্তব্য রাখেন। অতঃপর মুখ্যমন্ত্রী সহাস্যে মাইক্রোফোন হাতে তুলে নেন এবং বক্তব্য রাখেন। তিনি মাইক হাতে তুলে নেওয়ার পরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রাজনৈতিক ছাত্র আন্দোলন ও জেলা রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করতে থাকেন। এরপর একে একে তিনি মঞ্চে উপস্থিত নেতাকর্মী ও বিভিন্ন কর্মীদের নিয়ে পরিচয় পর্ব সারতে থাকেন। এদিন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র গঙ্গারামপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র গঙ্গারামপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু সরকার জেলা সভাধিপতি লিপিকা রায় বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের দ্বিতীয় বারের জন্য প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ বুনিয়াদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন সহ অন্যান্য বিশিষ্ট নেতা নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন তাছাড়াও গঙ্গারামপুর পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সহ জেলার লক্ষাধিক কর্মীসমর্থকরা এই নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিন গঙ্গারামপুর স্টেডিয়ামের মঞ্চে থেকে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি নাম না করেই নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেন চৌকিদার চোর হ্যায় বলে কটাক্ষ করেন পাশাপাশি তিনি বিজেপি দাঙ্গাবাজ দল কথাটি বারবার প্রত্যেকটি বক্তব্যের মধ্যে তুলে ধরছিলেন অন্যদিকে রাজ্যে তৃণমূল সরকার গঠন হওয়ার পর যে সব উন্নয়নগুলো হয়েছে তার প্রত্যেকটির বর্ননা তার বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত লক্ষাধিক মানুষ ও সমর্থকদের মধ্যে জানান। তিনি বারবার উন্নয়নের ধারায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষকে জানান গতবারের ২০১৪ সালের লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে আবারও দ্বিতীয় বার বিপুল ভোট দিয়ে পুনরায় জয়যুক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত শক্ত করতে আহ্বান জানান। এছাড়াও স্বাস্থ্য সাথী নামে একটি নতুন প্রকল্প শুরু করতে চলেছেন যেখানে বাড়ির মেয়েদেরকে স্মার্ট কার্ড হিসেবে দেওয়া হবে যেটি তারা চিকিৎসার জন্য 5 লক্ষ টাকা পাবে এছাড়াও তিনি বিগত পাঁচ বছরে অর্পিতা ঘোষের উন্নয়ন এবং প্রকল্প তার প্রত্যেকটির দিক তুলে ধরেন প্রথমে তিনি পানীয় জলের ব্যবস্থা জেলায় 50 টি করা হয়েছে রাস্তা 125 টির ও বেশি হয়েছে প্রায় 5 টি গ্রন্থাগারের উন্নয়ন হয়েছে 57 টি শিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে মত হয়েছে 75 টি বাতিস্তম্ভ হয়েছে যাত্রী প্রতীক্ষালয় 25 টি শবদেহ দাহ করার জায়গা উন্নতি হয়েছে যানবাহন মেশিন ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা 41 টি জনসাধারণের জন্য শৌচালয় পনেরোটি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন তিনটি চারটি ও একটি ইন্ডোর স্টেডিয়াম বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী মঞ্চ ও ভবন নির্মাণ আটটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন প্রকল্পে উন্নয়নে ধারায় বয়ে চলেছে। তাদেরকে তিনি এই সরকারকে দিল্লি থেকে উৎখাত করতে অর্পিতা ঘোষকে বিপুল ভোটে জয় যুক্ত করতে বারবার সকলকে আহ্বান জানান প্রায় 25 মিনিট ধরে তিনি তার বক্তব্য রাখেন মহিলাদের উলু ধ্বনি ও ছাত্র-ছাত্রীদের হাততালি দিয়ে সমর্থন জানাতে বলেন পাশাপাশি তার বক্তব্য শেষ করে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। উপস্থিত জনসাধারণের ভীড় ও উৎসাহ দেখে মমতা ব্যানার্জি যে আপ্লুত তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি সকলের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয় ।আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার কুড়ি এপ্রিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বুনিয়াদপুর আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগের দিন গঙ্গারামপুর ও বালুরঘাটে জনসভা করে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী সেই লড়াই এবার জমে উঠেছে, ভোটের ফলাফল আগামী 23 এপ্রিল মঙ্গলবার নির্বাচন তিন দফা নির্বাচন রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তে মানুষের রায় জানা যাবে আগামী 23 শে মে তার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিশেষ করে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদের বারংবার এই জেলাকে টার্গেট করা কে অনেকে রাজনৈতিক এজেন্ডা বলে মনে করছেন পাশাপাশি হাতে মাত্র 3 দিন তার আগেই তৃণমূল সুপ্রিমো এক সপ্তাহে দুইবার জনসভা করে গেলেন এরপর আগামীকাল নরেন্দ্র মোদি আসছেন কি প্রতিক্রীয়া হবে বা মানুষ রাজনৈতিক বার্তা কিভাবে নিচ্ছেন এই দুই দলের হেভিওয়েট নেতা ও নেত্রী কে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী মাসের 23 শে মে পর্যন্ত তাই জনসাধারণ হাতের কর গুনছেন দিল্লির মসনদ আবার কার হচ্ছে কে বসবে সেই দিল্লির সিংহাসনে তারই অপেক্ষায় অপেক্ষারত জনগন।