|
---|
বাবলু হাসান লস্কর, কুলতলি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা : ভাই ফোঁটা হিন্দু সম্প্রদায়ের মূলত উৎসব। এই মুহূর্তে জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবে মাতছেন। যার পোষাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। কার্তিক মাসে শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের আর একটি নাম যমদ্বিতীয়া।এই দিনে মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনারহাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসে তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দিয়েছিল। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দেয়।
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা,
যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা-
যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা,
আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।
যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।
আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর এইভাবে বোনেরা ভাইয়ের দীর্ঘজীবনের কামনা করে। ভাইকে মিষ্টি খাওয়ায়,ভাইও বোনকে পোষাক,মিষ্টি ও উপহার সামগ্রী দেয়। বোন তার ভাইএর মাথায় ধান, দুর্বা ঘাসের শীষ রাখে। এই সময় শঙ্খ বাজানো সাথে উলুধ্বনি করে। এরপর বোন তার ভাইকে আশীর্বাদ করে থাকে (যদি বোন তার ভাইয়ের তুলনায় বড় হয় অন্যথায় বোন ভাইকে প্রণাম করে আর ভাই বোনকে আশীর্বাদ করে থাকে)। তারপর বোন মিষ্টি নিয়ে ভাইকে মিষ্টি মুখ করায়। ভাই বোনকে উপহার দেয় ।
পশ্চিমবঙ্গে ভাইফোঁটা একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠান হলেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হয়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সংরক্ষীত বনাঞ্চল রামগঙ্গা রেঞ্জ অফিসে বনদফতরের কর্মীদের সাথে মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা ম্যানগ্রোভকে ফোঁটা দিয়ে সচেতনতার বার্তা দিলেন। এদিনে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বেশ কিছু স্কুল পড়ুয়ারা দেখা যায় হাতে প্যাকাট নিয়ে। গাছ বাঁচানোর আপ্রাণ প্রচেষ্টা।