|
---|
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোঘাট : দীর্ঘ প্রায় ২০ মাস পর খুলছে রাজ্যের সব স্কুল। শুধুমাত্র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চলছে স্কুলে গিয়ে। অবশ্য দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে অভাবের সংসারে হওয়া অনেক পড়ুয়াই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে। বরং স্কুল বন্ধ থাকার এই সময়টা বিভিন্ন ধরনের কাজে যোগ দিয়েছে তারা। যার ফলে স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এদিকে এখন স্কুল খুলে যাওয়ার পরও তারা আর পড়াশোনা করতে চাইছে না। বরং তাদের কাছে পড়াশোনার থেকে কাজটাই সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সব স্কুলের কাছেই এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এবার সেই সব পড়ুয়াকে স্কুলে ফেরাতে উদ্যোগী হলেন শিক্ষক শিক্ষিকাগণ। গোঘাটের আমডোবা শ্রী চরণ ভান্ডারী হাইস্কুলের পাঠরত নবম ও দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। স্কুল ছুট পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে আমডোবা, আসলহরি, হাফিজগঞ্জ, গ্রামে গিয়ে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। কেন তাঁরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না তা জানতে চান। বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার কথাও শোনেন। এক অভিভাবক জানান, বহুদিন ধরে তাদের স্কুলে যেতে হয়নি ওই জন্য তারা স্কুলে যেতে অনীহা প্রকাশ করছে ।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চৌধুরী ফজলুর রহমান বলেন, অনেক পড়ুয়া পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে বাইরে চলে গেছে জরি, এমব্রয়ডারি, সোনার কাজ করতে। কিছু ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। তবে তারা বিয়ের পরও পড়াশোনার পাঠ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন। শিক্ষকদের কাছ থেকে এ ধরনের ব্যবহার পেয়ে আপ্লুত অভিভাবকগণ। তারা বলেন আমরা অবশ্যই আমাদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয় পাঠাবো।
এদিন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি চৌধুরী ফজলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সমীর আদক ,শিক্ষক তাপস সামন্ত, শিক্ষক বিশ্বজিৎ সাহা , এলাকার সমাজসেবি সেখ রামিজ, গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি ডাক্তার রাহুল চৌধুরী সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন