|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা :মারাদোনার কোনদিনও গুড বয় ইমেজ ছিল না, বরাবরই তিনি ছিলেন দুরন্ত। তবে যতই দুরন্ত থাকুক না কেন পরীক্ষার ফলাফল কিন্তু বড় বাড়ি ভালো হতো মারাদোনার। সে কারণে কোচেদের কাছে সব সময় ভালো ছিলেন তিনি।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে গোটা পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন মারাদোনা। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। নামকরা ফুটবল ক্লাবে সুযোগ পাওয়ার পর, বস্তির বাড়ি ছেড়ে সপরিবারে ফ্ল্যাটে চলে আসেন মারাদোনা। টাকা-পয়সা মোটামুটি আসতে শুরু করার পরে কারখানার কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এরই মধ্যে তার মা একদিন পাশে সুপার মার্কেটে গিয়েছিলে জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে, প্রচুর জিনিসপত্র কেনার পর বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু টাকা কম পড়ে যায়। বিব্রত হয়ে পড়েছিলেন তিনি, এই ঘটনাটি দূরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মেয়ে দেখতে পায়,তারপর সামনে এগিয়ে এসে মারাদোনার মাকে জানাই তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিল পরিশোধ করতে। মেয়েটির নাম ক্লডিয়া, মারাদোনার বাড়ির পাশেই থাকে সে, পরে টাকা ফেরত দিয়ে দিলেও চলবে। হাত ছেড়ে বেঁচে ছিলেন মহিলা। এরপর তিনি তার ছেলেকে জানান পুরো ঘটনা, ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা জানান ছেলেকে। যথারীতি মারাদোনা সেই টাকা ফেরত দিতে গিয়েছিলেন, টাকা ফেরত দেওয়ার সাথে সাথে নিজের মনটাও দিয়ে এসেছিলেন ক্লডিয়া কে। ১৯৮৪ সালে তাদের বিবাহ হয়, টানাক কুড়ি বছর এই সম্পর্ক টেকে। তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেল পরবর্তী সময়ে মারাদোনা কিন্তু আর কাউকে বিয়ে করেননি।