|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই তার সঙ্গী আসের মালিককে ইসলামিক রীতিতে বিয়ে করেছেন।
ব্রিটেনের বার্মিংহামে এই বিয়ের অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ বছর বয়সী এই শান্তিকামী কর্মী জানিয়েছেন, এই দিনটি তার জীবনের একটি মূল্যবান দিন।
২০১২ সালে তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হবার পর পাকিস্তানের নাগরিক মালালা ইউসুফজাই ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস্-এ রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় মালালা জানিয়েছেন, “আসের এবং আমি একত্রিত হয়েছি জীবনের জন্য”।
“সামনের দিনগুলোতে একসাথে পথচলার জন্য আমরা বেশ উদ্বেলিত,” লিখেছেন মালালা।
- বিয়ের পর কেমন হয় নববধূর অভিজ্ঞতা
- ইরানে বিয়ে উৎসাহিত করতে ইসলামিক ডেটিং অ্যাপ হামদান
- দ. আফ্রিকায় নারীর একাধিক স্বামী রাখার প্রস্তাবে প্রতিবাদের ঝড়
- লাভ জিহাদ আইন: ভারতে হিন্দু-মুসলিম প্রেম হুমকিতে
- ‘আমি আমার মাকে যে কারণে বিয়ে করলাম’
মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানের তালেবান নিয়ন্ত্রিত একটি অঞ্চলে মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার সাহসী ভূমিকার কারণে প্রথম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজরে আসেন। তিনি ২০০৯ সালে একটি দিনলিপি লেখা শুরু করেন।
তালেবান জঙ্গীরা ২০১২ সালে মালালাকে স্কুল থেকে ফেরার পথে মাথায় গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঐ ঘটনা তাকে বিশ্বজোড়া পরিচিতি এনে দেয়।
সেসময় তার বয়স ছিল ১৫ বছর।
মারাত্মক আহত হয়ে মালালা তখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ছিলেন। সেই ঘটনা থেকে বেঁচে যাবার পর তার পরিবার নিয়ে ব্রিটেনে চলে যান।
ঐ হামলা থেকে সেরে ওঠার পর মালালা মেয়েদের শিক্ষার পক্ষে তার প্রচারণা অব্যাহত রাখেন। তিনি এই বিষয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এক বিশেষ অধিবেশনে বক্তৃতাও দেন।
২০১৪ সালে ১৭ বছর বয়সে মালালা সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে তিনি নোবেল শান্তি পুরষ্কার লাভ করেন। তার সাথে যৌথভাবে নোবেল জেতেন ভারতের কৈলাস সত্যার্থি।
মালালা ইউসুফজাই ২০১৩ সালেও এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুরস্কার পাননি।
- নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন মালালা এবং কৈলাশ সাতিয়ার্থী
- প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে ফিরলেন মালালা
- মালালাকে পাকিস্তানের মানুষ কিভাবে নিয়েছে?
- মালালার বিরুদ্ধে ভারতে হঠাৎ কেন আক্রমণের ঝড়?
২০১৩ সালে মার্কিন সাময়িকী টাইম মালালাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি বলে বর্ণনা করে। ওই বছরই মালালা ইউরোপীয় ইউনিয়নের শাখারভ মানবাধিকার পুরস্কার পান।
মালালা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং মানবাধিকার নিয়ে বিশ্বজুড়ে সরব একজন ব্যক্তিত্ব।
এর আগে বিয়ে সম্পর্কে দ্বিধা প্রকাশ করতে দেখা গেছে মালালা ইউসুফজাইকে।
গত জুলাই মাসে ভোগ সাময়ীকিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মালালা বলেছিলেন, “আমি এখনো বুঝি না, কেন মানুষকে বিয়ে করতে হবে”।
“আপনি যদি আপনার জীবনে একজন ব্যক্তিকে চান, তাহলে কেন কাগজে সই করে সেটা করতে হবে। কেন স্রেফ একজন আরেকজনের সঙ্গী হতে পারবে না?” বলেছিলেন মিজ ইউসুফজাই।
“আমার মা আমাকে বলে… এমন কথা বলার সাহস তোমার কী করে হল! তোমাকে বিয়ে করতে হবে। বিয়ে একটা সুন্দর ব্যাপার”।
মালালা ইউসুফজাইয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর সামাজিক মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ ‘লাইক’ করেছে।
হাজার হাজার শুভেচ্ছাবানীতে ছেয়ে গেছে টুইটারে পোস্ট করা মালালার বিয়ের খবর।
- দাম্পত্য সম্পর্ক খারাপ চললে আপনি কী করবেন?
- তালাক নোটিশের পরের ৯০ দিন দম্পতিদের মিটমাটের সুযোগ থাকে কতটা?
- অন্যদের বিয়ে নিয়ে হাসি মশকরা করার বিষাক্ত জগৎ
- মাংস নিয়ে ঝগড়ার কারণে তালাক হওয়া বর-কনে পালিয়ে বিয়ে করলেন
- সালিশ করতে গিয়ে বিয়ে করলেন ইউপি চেয়ারম্যান, পরদিনই বিচ্ছেদ
- দুই প্রেমিকাকে একই সঙ্গে বিয়ে করলেন ছত্তিশগড়ের যুবক