মাটির বাঁধ দিয়ে রাইস মিলের প্রবেশ বন্ধ করলো গলসির চাষিরা

আজিজুর রহমান,গলসি : প্রতিশ্রুতি মতো সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা শুরু না করায় রাইস মিলের গেটে জেসিবি দিয়ে মাটির বাঁধ দিলো চাষিরা। আর এর জেরে আর সকাল থেকেই অনিদিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল মা মঙ্গলচন্ডী অগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড রাইস মিল। এলাকার চাষিদের দাবী, গত ২২ তারিখে তারা ওই রাইস মিলে আন্দোলন করে ছয় ঘন্টা বন্ধ করেছিলেন। গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চ্যাটার্জ্জীর কথা মত সেই আন্দোলন থেকে সরে আসেন। কথা ছিল আজ থেকে ধান নেবার। সেই মতো সকালে ধান বিক্রির জন্য যান চাষিরা। মিলে গিয়ে জানতে পারেন এখন প্রযন্ত সরকারি কাজ সম্পুর্ন করেনি মিল কতৃপক্ষ। এর ফলে ক্ষোভে সকালেই মিল বন্ধ করে দেন চাষিরা। বেলা গড়ালেও কোন সমাধান না মেলায় মিলের গেটে জেসিবি গাড়ি দিয়ে মাটির বাঁধ দিয়ে দেন চাষিরা। স্থানীয় চাষি ফজলুল মন্ডল বলেন, ওই মিলে ধান বিক্রির জন্য আমরা পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, বিডিও সব জায়গায় গেছি। তারপর ২০ জানুয়ারি তাদের ধান নেওয়ার কথা দেয় ওই মিল। ওই দিন মিলে গেলে আমাদের কথার কর্নপাত করেননি মিল কতৃপক্ষ। তাই ২২ তারিখে মিলের গেটে ধর্নায় বসেছিলাম। ছয় ঘন্টা মিল বন্ধ থাকার পর পঞ্চায়েত সমিতির আশ্বাসে আন্দোলন তুলে নিই। কথা ছিল আজ থেকে ধান নেবার। মিলে এসে জানতে পারি ওরা ধান কেনার কাগজপত্র এখনও ঠিক করেননি। এই কথা জানাজানি হতেই আমাদের এলাকার সব চাষি রাইস মিলে চলে এসে আন্দোলন শুরু করে। তার দাবী সব মিল সরকারি সহায়ক মুল্য ধান নিচ্ছে এই মিল কেন নেবে না। আমাদের ধান সহায়ক মুল্য না নিলে আমরা লাগাতার আন্দোলন চলিয়ে যাবো। স্থানীয় চাষি সেখ মিঠু, সেখ বাদল ও সেখ ইদরিস বলেন, তাদের পুরন্দগর গ্রামের নব্বই শতাংশ চাষির ধান বাড়িতে পরে আছে। তাদের কারও কারও ব্যাংক এর কৃষি ঋনের তারিখ পেড়িয়ে গেছে। তাছাড়া কেউ কেউ ধার নিয়ে লেবারের টাকা প্রদান করেছে। তথচ তাদের ধান তারা সরকারি সহায়ক মুল্যে বিক্রি করতে পারছে না। অফিসারদের কাছে গেলে তারা বলছে মিলে যেতে। সব মিলেই তারা যাচ্ছেন কেউ তাদের কথা শুনছে না। কোন মিল একবার ধান নিয়ে লেবি দেওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে দ্বিতীয় বার তাদের ধান আর কেনা শুরু হচ্ছে না। তাদের দাবী সরকার ধান নেবার ব্যবস্থা করুক। এই বিষয়ে গলসি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চ্যাটার্জীকে ফোন করা হলে তিনি জানান, কিছুক্ষণ আগে বিষটি শুনলাম। এই মহুর্তে কিছু বলতে পারছি না। বিষটি নিয়ে আমরা আলোচনা করে দেখছি কি করা যায়।