নয়া তালিবান সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হল মহম্মদ হাসান আখুন্দ

নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: নয়া তালিবান সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হল মহম্মদ হাসান আখুন্দ। তালিবানের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা। ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসানের ডেপুটি হচ্ছে তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আবদুল ঘানি বরাদর।

    সংবাদসংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ সরকারের ঘোষণা করেছে, তাতে পুরনো মুখদেরই প্রাধান্য দিয়েছে তালিবান। মার্কিন সেনার হাতে পতনের আগের কয়েক বছরে আফগানিস্তানের তালিবানি সরকারে প্রধানমন্ত্রী ছিল হাসান। বরাদর আবার আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দোহায় যে আলোচনা চলেছিল এবং চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিল। সংবাদসংস্থা এএনআই আবার জানিয়েছে, তালিবানের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমে টোলো নিউজ বলেছে যে মৌলবী হান্নাফি হয়েছে দ্বিতীয় ডেপুটি নেকা। মোল্লা ইয়াকুবকে করা হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের শীর্ষে বসানো হয়েছে সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে। তবে প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, অ-তালিবানি কোনও মুখকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ সরকারে ঠাঁই দেয়নি তালিবান। যে দাবি আন্তর্জাতিক মহল থেকে তোলা হচ্ছিল।

    সেই ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ সরকারের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই মঙ্গলবার কাবুলে তালিবান এবং পাকিস্তান-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। তাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালিয়েছে তালিবান। সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তালিবানের হাতে আফগানিস্তান চলে যাওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নামেন শয়ে শয়ে মহিলা এবং পুরুষ। মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো ছিল। তাঁরা কাবুলের রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। করেন মিছিল। সঙ্গে স্লোগান ওঠে, ‘বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক’ এবং ‘পাকিস্তানের মৃত্যু (হোক)’। যে পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানের সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক আছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়। আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্রে তালিবানকে পাকিস্তান সমর্থনও করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই অভিযোগ স্বীকার করেছে তালিবান।

    সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীদের একটি ব্যানারে লেখা ছিল, ‘পাকিস্তান, পাকিস্কান, আফগানিস্তান।’ বিক্ষোভকারীরা জানান, তাঁরা মোটেও পুতুলের মতো কোনও সরকার চান না। বরং সার্বিক গ্রহণযোগ্য সরকার চান। পাকিস্তানের দূতাবাস কর্মীদেরও তাঁরা আফগানিস্তান ছাড়তে বলেন। তারইমধ্যে কয়েকজন সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান। যাঁরা ঘটনার ছবি এবং ভিডিয়ো তুলেছিলেন। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, সংস্থার ক্যামেরাম্যানকে আটকে রেখেছে তালিবান। তাঁর ক্যামেরা নিয়ে নেওয়া হয়েছে।