|
---|
মহিউদ্দীন আহমেদ, সিউড়ী: কংক্রীটের জঙ্গলে ভরে যাচ্ছে শহর। সবুজ পরিবেশ প্রকৃতি ধীরে ধীরে ধংস হচ্ছে। ইঁট কাঠ পাথরে রুপ বদলাচ্ছে চেনা পরিবেশের। সবুজ আর সবুজ থাকছে না। শহর ধীরে ধীরে গ্রাস করছে শহরকে। সেই শহরের ভিতরে চাষ হবে? এটা ভাবাই যায় না। আর সেই অভাবনীয় কাজটি করে দেখিয়েছেন সিউড়ী শহরের সোনাতোড় পল্লীর বাসিন্দা মহস্মদ ইয়াসীন আকতার। পেশায় কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মী সিউড়ী পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ ইয়াসীন আকতার তার বসত বাড়ীর দোতলার উপর এক চিলতে ছাদে বছর ভর চাষ করছেন স্বজী। আলু, মূলো থেকে পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, ক্যাপসিকাম সবই চাষ হয়। বাড়ীর পোয়োজনে রান্নার কাজে যা যা লাগে সবই চাষ করেন। তার এই শখের স্বজী চাষ আজ নিত্য প্রয়োজনের হয় দাঁড়িয়েছে। বাড়ীর প্রয়োজন ছাড়াো তার বন্ধু বান্ধব যারাই আসেন তার এই বাগান দেখতে তাদেরকেও উপহার হিসেবে দেন তার চাষ করা স্বজী। মহম্মদ ইয়াসীন আক্তার বলেন, বাজারে স্বজী পাওয়া যায়। কিন্তু বর্তমানে স্বজী চাষে যে হারে রাসায়নিক সার ব্যাবহার বাড়ছে তা উদ্বেগের কারন। খাবারে বিষ মিশেছে। আমরা প্রকৃতি কে অস্বীকার করে জৈব সারে চাষাবাদ ছেড়ে যেভাবে রাসায়নিক সার ব্যাবহার করা হচ্ছে তাতে মানুষ নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছে। সেই পদ্ধতি উপেক্ষা করে আমরা নিজেরা যদি নিজের পরিবারের কথা ভেবে এভাবে নিজস্ব প্রয়োজনীয় চাষ টুকু করি তাহলে নিজেরা বাঁচব, সমাজও বাঁচবে। আবার নিজের কাজ নিজে করার জন্য শারীরিক পরিশ্রমও হয়। বলেন মহম্মদ ইয়াসীন আক্তার। সিউড়ী শহরে তার বাড়ীর দোতলার ছাদে এই স্বজী চাষ নজর কেড়েছে অনেকেরই।