|
---|
সেখ শামসুদ্দিন : ৩ সেপ্টেম্বর মেমারি বামুনপাড়া মোড়ের কাছে, হাজী মশলা ও আটাঘর দোকানে ভয়াবহ আগুন লাগে রাত সাড়ে তিনটের সময়। এক স্থানীয় ব্যক্তি লক্ষ্য করেন দোকানের ভেতর থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তৎক্ষণাৎ দোকান মালিককে প্রতিবেশীরা খবর দেয়। মালিকপক্ষ দোকানের দরজা খুলতেই দেখেন সর্বনাশ। কারণ শুধুমাত্র দোকানঘর নয়, পিছনের বিশাল বড় গোডাউনও আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।পুড়ে ছাই হয়ে গেছে সমস্ত মসলা সহ বিভিন্ন মুদিখানার সাজসরঞ্জাম। মেমারি পৌরশহরের দমকল বিভাগে খবর দিলে তৎক্ষণাৎ দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভাতে শুরু করে। আগুন সম্পূর্ণভাবে নেভাতে প্রায় তিন ঘন্টা লেগে যায়, তারপরেও ধোঁয়া বের হতে থাকে সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে প্রায় চার ঘণ্টা সময় লেগে যায়। দমকল কর্মীদের মধ্যে একজন শরীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যেহেতু মসলার দোকান, লঙ্কার তীব্র ঝাঁজে চোখ জ্বালা করা থেকে শুরু করে সারা শরীরে জ্বলতে থাকে। পরে তাকে জলে ঝাঁপ দিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনে দমকল কর্মীর কর্মীরা।খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হাজির হন মেমারি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন ঘোষাল ও মেমারি পুরপ্রশাসক স্বপন বিষয়ী। দোকানের মালিক সেখ আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য, আগেও দোকানে একবার ছোট আগুন লেগেছিল, এইভাবে ক্ষতি হয়নি। এবারের চিত্রটা একটু আলাদা, ক্ষতি প্রায় লক্ষাধিক টাকার উপরে। তিনি চাইছেন যদি কোন রকম ভাবে সরকারি সাহায্য পায়, তাহলে আবারও হয়তো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে ব্যবসা করতে পারবেন। দমকলকর্মীর তৎক্ষণাৎ হাজির হওয়াতে এলাকাবাসী থেকে আপামর জনসাধারণ খুশি সকলেই এবং এই আগুনের ঘটনা আগেও মেমারিতে দু-একবার হয়েছে তবে এবারের ঘটনাটি একটু বড় ধরনের। যার ফলে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।