|
---|
সেখ সামসুদ্দিন : ২১ মে, একে আলুর ক্ষতিপূরণ নিয়ে চাষী ক্ষিপ্ত, সঙ্গে দোসর হিমঘরে আলু পচে যাওয়া একেবারে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। হিমঘরে থাকা আলু পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মেমারির রসুলপুর এলাকায় জিটি রোড অবরোধ করে রাস্তায় আলু ফেলে বিক্ষোভ চাষী ও আলু ব্যবসায়ীদের। দীর্ঘ ২ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পর পুলিশ এসে বিক্ষোভ তোলে। চাষীদের অভিযোগ, দুবার চাষ করে স্বল্প পরিমান আলুর ফলন হওয়ায় ওই আলু মেমারি থানার রসুলপুর তিরুপতি হিমঘরে রেখেছিলেন। আলু লোডিং হবার পর গতকাল হিমঘর খোলে। ৩নং চেম্বার ও ২নং চেম্বারের আলু গতকাল শেডে ফেলার পর দেখা যায় আলু পচে গিয়েছে। বেশ কিছু আলুর গায়ে দাগও ধরেছে যা ওই আলু বাজারে বিক্রি করাও মুশকিল। আজ এলাকার সকল চাষী ও ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে জিটি রোডে আলু ফেলে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনা স্থলে এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুদীপ্ত মুখার্জী, মেমারি ১ বিডিও ডাঃ আলী মহঃ অলি উল্লাহ, কৃষি আধাকারিক ও বিধায়ক, সকল চাষীদের আশ্বস্ত করে আগামী সোমবার হিমঘর কতৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসবে বলে জানানো হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। হিমঘর কতৃপক্ষ তথা ম্যানেজার জানান কি কারণে এই সমস্যা হয়েছে বোঝা না গেলেও মালিক পক্ষেকে জানানো হয়েছে। সোমবার সকল চাষীদের নিয়ে বসে আলোচনা হবে। ম্যানেজার আরো জানান হিমঘরে মোট ক্যাপাসিটি ৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫ বস্তা, তবে এ বছর ২ লক্ষ ৩০ হাজারের কাছাকাছি পূরণ হয়। তবে কিছু চাষী মনে করছেন ব্যবসাদার কিংবা হিমঘর কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে কৃত্রিম উপায়ে আলোগুলো পচিয়ে দিয়ে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে।