| |
|---|
সুফি রফিক উল ইসলাম: মেমারি: ১৫ এপ্রিল : পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি মিলন সংঘ শহর গ্ৰন্থাগার প্রাঙ্গণে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন,পয়লা বৈশাখ সকাল সাড়ে দশটায় এক সুচারু সংস্কৃতির প্রতিভূ স্বরূপ মাতৃভাষা স্মারক ও মহান রাজা রামমোহন রায়ের আবক্ষ মূর্তির শুভ উদ্বোধন হয়। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য, মেমারি পৌরসভার উপ পৌর প্রধান সুপ্রিয় সামন্ত, গ্ৰন্থাগারের সভাপতি অচিন্ত্য কুমার চট্টোপাধ্যায়, সম্পাদক আশিস ঘোষ দস্তিদার, গ্ৰন্থাগারিক সঞ্জয় কুমার দাস, কাউন্সিলর দ্বয় চিরঞ্জীব ঘোষ ও সোনালী বাগ এবং ডাঃ অভয় সামন্ত, চন্দ্র নারায়ণ বৈরাগ্য, জগবন্ধু বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ মেমারির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের হাত ধরে এই মহতী কর্মকান্ডের উদ্বোধন ঘটে। প্রসঙ্গক্রমে জানাই ১৯৩৮ সালের ১৯ মার্চ পুন্ডরীকাক্ষ বসু, অরবিন্দাক্ষ বসু, কমলাক্ষ বসু, বিমলাক্ষ বসু এবং সরোজাক্ষ বসু যে জমি দান করেছিলেন তাতে এই গ্ৰামিন মেমারিতে গ্ৰন্থাগার ক্লাব নামে পরিচিত হয়ে এই গ্ৰন্থাগার গড়ে ওঠে। এরপর ১৯৬২ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক এই গ্ৰন্থাগার সরকারি অনুমোদন পায়। তারপরে ১৯৯৪ সালের ৫ আগষ্ট শহর গ্ৰন্থাগারের মর্যাদা পায় মেমারি মিলন সংঘ শহর গ্ৰন্থাগার। ২০১৪ সালে নবরূপে সজ্জিত হয়ে এগিয়ে চলেছে এই গ্ৰন্থাগার। আজকের এই মহতী অনুষ্ঠানে মঞ্চাসীন ব্যক্তিবর্গ কে স্মারক সন্মাননা প্রদান করার পাশাপাশি আরো কয়েকজন সাহিত্য ও সংস্কৃতি প্রেমী ব্যক্তিকেও সন্মাননা প্রদান করা হয়। স্বাগত ভাষণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সঙ্গীত, আবৃত্তি ও বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সুচারু সমাপন ঘটে। বিভিন্ন বক্তার বক্তব্যে উঠে আসে গ্ৰন্থাগার তথা লাইব্রেরির পাঠক পাঠিকার সংখ্যার ক্ষেত্রে উদ্বেগ। এটি বর্তমান ডিজিটাল যুগে করোনা কলীন সময়ের মতোই গতিশীল ও চরম বাস্তব। তাই একে উপেক্ষা করার উপায় নেই। তবে প্রচার এবং প্রসার বই ও বইয়ের পাঠক পাঠিকার সংখ্যা আগামীতে আরো বৃদ্ধি পাবে এটি আশা করাই যায়। তবুও প্রশংসা করতেই হয় মেমারি মিলন সংঘ শহর গ্ৰন্থাগারের বর্তমান কর্ণধারগণকে, কারণ রাজা রামমোহন রায়ের মূর্তি মেমারি শহরের বুকে এই প্রথম প্রতিষ্ঠিত হল। একই সঙ্গে এক অভিনব মাতৃভাষা স্মারক উপহার দেওয়ার জন্যও সাধুবাদ জানাতেই হয়। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সম্পাদক আশিস ঘোষ দস্তিদার।


