মেমারি থানার সহযোগিতায় মণ্ডপ প্রতিমা দর্শনে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক বৃদ্ধ বৃদ্ধারা

নূর আহমেদ, মেমারি : ঢাকের বাদ্যি, ধুনোর গন্ধ আর শঙ্খনিনাদে মনটা নেচে ওঠে। উৎসবে মেতে ওঠার ইচ্ছা করে তাঁদেরও। কিন্তু বয়সের ভারে ঝুঁকে পড়া কাঁধগুলোর আর দুর্গাদর্শন হয়ে ওঠে না। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি থেকেই কেটে যায় পুজোর পাঁচটা দিন। বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ঠাকুর দেখতে পেলেন কি না, মায়ের সামনে হাত জোড় করে প্রার্থনা করতে পারলেন কি না, প্রসাদ মুখে উঠল কি না, এসব খেয়াল আর কে রাখে। পরিবার যে একা থাকার নিয়তিই রচনা করে দিয়েছে। কিন্তু এবার পুজোয় সেই ছবিটা খানিকটা হলেও বদলে দিলেন মেমারি থানা।বর্তমানে মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত অধিকারী দেবাশীষ নাগ এর আগে কর্মসুত্রে কালনা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক থাকাকালীনও চরম ব্যস্ততার মধ্যেও পুজোর চারটে দিনের মধ্য থেকে একটা দিনের সময় বার করে কালনা এলাকার বেলা শেষে বৃদ্ধাশ্রম এর আবাসিকদের নিয়ে প্রতিমা দর্শনে বের হয়েছিলেন।

    এরপর কর্মসূত্রে তিনি বর্তমানে মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক। কিন্তু কর্মসূত্রে মেমারি থানার দায়িত্ব নেওয়ার পরেও পুজোর চরম ব্যস্ততার মধ্যেও ভুলে যাননি সেই বেলাশেষে বৃদ্ধাশ্রম এর আবাসিকদের কথা।তাই এদিন শনিবার মেমারি থানার উদ্যোগে এবং মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাশীষ নাগের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই কালনা থানার অন্তর্গত বেলা শেষে বৃদ্ধাশ্রম এর আবাসিকদের মেমারি থানায় নিয়ে এসে মেমারি শহরের পূজো মণ্ডপ গুলি ঘুরে প্রতিমা দর্শনের সুযোগ করে দিলেন বৃদ্ধাশ্রম এর বয়স্ক বয়স্কা আবাসিকদের। এবং দুপুরের মধ্যাহ্নভোজন করিয়ে পুনরায় আবাসিকদের পৌঁছে দেয়া হয় বেলা শেষে বৃদ্ধাশ্রমে। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের নিয়ে এদিন এই পুজো পরিক্রমায় মেমারি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দেবাশীষ নাগের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান সদর দক্ষিণের SDPO অভিষেক মন্ডল , CI বিশ্বজিৎ মন্ডল, মেমারীর বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য সহ মেমারি থানার অন‍‍্যান‍্য পুলিশ আধিকারিক গন। মন্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করে বেলা শেষে বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক বয়স্ক বয়স্কাদের শারীরিক ভাষায় ফুটে উঠল উৎসবের আনন্দের চেনা ছবি।