হাওড়ায় তাঁর প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছেন মেক্সিকোর মেয়ে লকডাউনে তাঁদের মনকে বেঁধে রাখা যায়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা : লকডাউনে গোটা দুনিয়া প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেলেও তাঁদের মনকে বেঁধে রাখা যায়নি। দু’জনের প্রেম গাঢ় হতেই হাওড়ায় তাঁর প্রেমিকের কাছে ছুটে এসেছেন মেক্সিকোর মেয়ে। আর ক’দিন পর জুলাইয়ে সাত পাকে ঘুরবেন তাঁরা।মেক্সিকোর লেসলি দেলগাডোর সঙ্গে হাওড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ ভট্টাচার্যের আলাপ হয়েছিল নেটমাধ্যমে। সে সময় করোনার সংক্রমণে রাশ টানতে চলছে লকডাউনের বিধিনিষেধ। গোটা বিশ্ব প্রায় থমকে গিয়েছিল। তবে তরতর করে এগিয়ে গিয়েছিল অরিজিৎ এবং লেসলির প্রেম।বালির দুর্গাপুর সাহেববাগান এলাকার বাসিন্দা অরিজিৎ বলেন, ‘‘করোনার সময় লকডাউন শুরু হলে বাড়ি থেকেই কাজ করতাম। কাজের পাশাপাশি সময় কাটাতে ইন্টারনেইই ছিল ভরসা। সেখানেই লেসসির সঙ্গে আলাপ।’’ রসিকতা করে তিনি বলেন, ‘‘করোনা না এলে তো আমাদের আলাপও হত না!’’সেই আলাপ গভীর সম্পর্কে পরিণত হতে সময় লাগেনি। তবে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ থাকায় অরিজিতের সঙ্গে লেসলির সাক্ষাৎও অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। সেই বিধিনিষেধ উঠে যেতেই সুদূর মেক্সিকো থেকে হাওড়ায় উড়ে এসেছেন লেসলি। অরিজিৎ বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। ১৯ জুন আমাদের রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছে।’’রেজিস্ট্রি করে বিয়ের পর সামাজিক অনুষ্ঠানও করতে চান যুগল। ৫ জুলাই সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দু’জনে। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত আরিজিতের বাবা বিনায়ক ভট্টাচার্য। অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী বিনায়ক বলেন, ‘‘লেসলি অত্যন্ত ভাল মেয়ে। সবাইকে আপন করে নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে ভাল ভাবে কথা বলার জন্য বাংলা এবং ইংরেজিও শিখছে। আর লেসলির সঙ্গে কথা বলার জন্য স্প্যানিশ ভাষা শিখেছে অরিজিৎ।’’

     

    অক্টোবর মাস পর্যন্ত হাওড়ায় থাকবেন অরিজিৎ এবং লেসলি। এর পর মেক্সিকোয় যাবেন তাঁরা। সেখানে সামাজিক অনুষ্ঠানে আরও এক বার বিয়ে হবে তাঁদের। লেসলি বলেন, ‘‘আমাদের বিয়ে নিয়ে খুবই উত্তেজিত লাগছে।’’