দামোদর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার শুরু হলো পূর্ব বর্ধমান জেলায়

নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দামোদর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার শুরু হলো পূর্ব বর্ধমান জেলায়। ডিভিসি ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানোয় প্লাবনের আশঙ্কা থাকছে দামোদর তীরবর্তী এলাকায়। বাসিন্দাদের সচেতন করতে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে রায়না, খণ্ডঘোষ, জামালপুর ও গলসি এলাকায়। প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে।

    বিহার, ঝাড়খন্ডসহ দামোদরের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় অতি ভারী বর্ষণের কারণে জলাধারগুলির উপর চাপ বাড়ছে। ফলে জল ছাড়া অব্যাহত রেখেছে ডিভিসি। দুপুর থেকে ১ লক্ষ ১৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হলেও তার পরিমাণ বেড়ে দেড় লক্ষ কিউসেক হতে পারে। সে কারণে দুর্বল এলাকায় বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেই উদ্বেগ থেকেই বাসিন্দাদের সতর্ক করতে মাইকে প্রচার শুরু হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    পরিস্থিতি প্রতিকূল হলে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বাসিন্দাদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের নিরাপদ আশ্রয় উঠে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগাম সর্তকতা হিসেবে ব্লকগুলিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ত্রিপল, শুকনো খাবার, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দামোদর নদী ফুঁসতে থাকায় মেমারি, জামালপুরের একাধিক কাঠের সেতু খুলে ফেলা হয়েছে। সেইসব এলাকায় ঝুঁকির ফেরি চলাচল চলছে।

    অনেক জায়গায় লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই খেয়া-পারাপার চলছে। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করা যাবে না বলে আগেই জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    এমনিতেই চার দিনের টানা বৃষ্টিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজমি জলের তলায়। রোয়া ধান ডুবে গিয়েছে। সেই সব জমিতে ফের ধান রোপণ করতে হবে বলে মনে করছেন কৃষকরা। এরপর আবার দামোদরের জল উপচে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামলানো মুসকিল হবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।