|
---|
আসিফ রনি, নতুন গতি: পরিবারের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য সুদূর সৌদি আরবে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন রাজিবুর রহমান । কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।
হাওড়ার বাগনানের হ্যালান গ্রামের বাসিন্দা রাজিবুর রহমানের মৃতদেহ বাড়ি ফেরানোর জন্য তার পরিবার প্রশাসন থেকে শুরু করে যোগাযোগ করে বিদেশমন্ত্রকে কিন্তু কোন জায়গায় সাহায্য না পেয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিল রাজিবুরের পরিবার।
এর মধ্যে যোগাযোগ করা হয় বিশিষ্ট সমাজকর্মী সাদেকুল ইসলামের সঙ্গে। তারপরই তিনি পুরো দায়িত্ব তুলে তুলে নেন নিজের কাঁধে। সাদেকুল বিদেশমন্ত্রক, অ্যাম্বাসি এবং কনস্যুলেটের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। দেহ আনার জন্য ১৫ দিনের কঠোর পরিশ্রমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে তৎপর হন তিনি।
উল্লেখ্য এর মাঝে হঠাৎ বাধা হয়ে দাঁড়ায় আরো একটি বিষয়। সৌদি আরবে যার কাছে ড্রাইভারি গিয়েছিলেন রাজিবুর, সেই কন্ট্রাক্টর দেহ পাঠানোর খরচ ও দায়িত্ব পালন করতে অস্বীকার করে। নতুন করে তৈরি হয় জটিলতা।
আবার নতুন করে সেই কন্ট্রাক্টরের বিরুদ্ধে সৌদি আরব কোর্টে মামলা করার জন্য এজেন্সিকে অনুরোধ করেন তিনি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে খরচ বহন করতে রাজি হন ওই কন্ট্রাক্টর। অবশেষে ৫২ দিন পর রবিবার ৫ ডিসেম্বর দমদম বিমানবন্দরে পৌছায় রাজিবুরের মৃতদেহ। তারপরই মৃতের পরিবারকে লাশ তুলে দেন সাদেকুল।
করোনা কালে সাদেকুলের টিম সবসময় মানুষের পাশে ছিল। দেশ, বিদেশের নানান প্রান্তে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে মারা গেলে বিনামূল্যেই তাদের ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে থাকে এই টিম। সাদেকুল জানান ভবিষ্যতে আরও এমন ভালো কাজ করবেন তিনি। ভবিষ্যতে যদি কোন পরিবারে এই রকম সমস্যায় সম্মুখীন হন তাকে জানাতে পারেন বলে জানিয়েছেন সাদেকুল ইসলাম।