স্টেডিয়ামের শিল্যানাস ও বি বি ইউ সি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্ধোধন করলেন মন্ত্রী অরূপ রায়

ইলিয়াস মল্লিক, হাওড়া : বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল। ফুটবল খেলার ঐতিহ্য ও জনপ্রিয়তাকে ধরে রাখতে শনিবার দুপুরে খড়দা বামুনপাড়া বি বি ইউ সি গ্রাউন্ডে, মরহুম সেখ রমজান আলির স্মৃতিতে, আমন্ত্রণ মূলক আট দলীয় নকআউট পর্যায়ে এক বিরাট ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। শুভ উদ্বোধন করেন জগৎবল্লভপুর বিধানসভার বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ ও রবিবার দ্বীতিয় দিন পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী মাননীয় অরুপ রায়, উলুবেড়িয়ার বিধায়ক বিদেশ বসু, জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক সীতানাথ ঘোষ, জেবিপুর থানার ওসি, প্রাক্তন বিধায়ক আবুল কাশেম মোল্লা, পঞ্চায়েত প্রধান সেখ বরকতুল্লাহ, উপপ্রধান তপন চ্যাটার্জী, জেলা পরিষদের সদস্য সঞ্জু মল্লিক, বিবিইউসি সভাপতি সীরাত মল্লিক সহ অন্যান্য অতিথী বর্গের উপস্থিতিতে বি.বি.ইউ.সি. গ্রাউন্ডের স্টেডিয়ামের শিল্যানাস হয়।

    এছাড়াও জগৎবল্লভপুর তথা হাওড়া জেলার অতীত দিনের দিকপাল ফুটবলার এবং ক্রীড়াবিদরা। জাতীয় সঙ্গীত পাঠ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর শ্বেত কপোত উড়িয়ে খেলার শুভারাম্ভ হয়।

    খেলার প্রথম দিন, আমতা এফ সি অল স্টার বনাম ইয়ং স্টার ও মাজু ডি ডি এম এফ সি বনাম বালি শিল্পী সংঘ মুখোমুখি হয়। প্রথম দিন সেমিফাইনালে আমতা অল স্টার বনাম বালি শিল্পী সংঘের খেলায় আমতা বালি শিল্পী সংঘকে পরাজিত করে ফাইনালে স্থান দখল করে।

    খেলার দ্বীতিয় দিন রুদ্রপুর ভাইবোন সমিতি বনাম আর কে এমব্রয়ডারি ও শ্যামপুর সম্মিলনী বনাম ইছানগরী ফ্রেন্ডস ক্লাব মুখোমুখি হয়। দ্বিতীয় দিনের খেলায় রুদ্রপুর ভাই-বোন সমিতির সাথে ইছানগরী ফ্রেন্ডস ক্লাবের কঠিন লড়াই হয় দ্বীতিয় সেমিফাইনালে কিন্তু রুদ্রপুর এর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাদেরকে ফাইনালে পৌঁছে দেয়।

    দিনের শেষে ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় আমতা বনাম রুদ্রপুর। ফাইনাল খেলার আগে পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মন্ত্রী অরুপ রায় স্টেডিয়ামের শিল্যানাস করেন।

    তিনি বলেন এই এলাকায় স্টেডিয়াম হলে মঠের সৌন্দর্য্যায়ন হবে ও একটি ফুটবল একাডেমি করার প্রতিশ্রুতি দেন। একই সঙ্গে বিধায়ক বিদেশ বাবু এখানে খেলাধুলার জন্য প্রয়োজনীয় যত ফুটবল লাগবে তা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

    এদিন ফাইনাল ম্যাচ ড্র হলে ট্রাইবেকারে আমতা অল স্টার এফ সি জয়লাভ করেন। খেলায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট এর খেতাব অর্জন করেন আমতার সেখ মহসিন ওরফে লাকো। বিজেতা দলকে একটি সুদৃশ্য ট্রফি সহ নগদ ৩০,০০০/- টাকা তুলে দেন অরুপ রায় ও ফাইনালে পরাজিত দলকে একটি সুদৃশ্য ট্রফি সহ নগদ ২০,০০০/- টাকা তুলে দেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মাননীয় কাশেম মোল্লা সাহেব।