“কেশপুরে মহিলা কলেজ তৈরি করব”- কেশপুরে এসে বললেন মন্ত্রী শিউলি সাহা

সেখ মহম্মদ ইমরান: তিন বারের বিধায়ক৷ এ বারেও কেশপুর থেকে কুড়ি হাজারেরও বেশী মার্জিনে জিতেছেন৷ শিউলিদেবীর দাবি, মন্ত্রী যে হচ্ছেন আগে থেকে আঁচ পাননি৷ তবে তিন বার জেতায় প্রত্যাশা ছিল৷ 35 বছরের বাম অপশাসনের অবসানের পর যেমন আনন্দ হয়েছিল এটা এমন আনন্দ। এই কৃতিত্ব সম্পূর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই জয় আমি মা মাটি মানুষকে উৎসর্গ করলাম।

    সম্বর্ধনা দিচ্ছেন মুগবসান অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব

    এদিন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে কেশপুরে পৌঁছে সংবর্ধনায় ভাসলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা। এদিন ব্লক, অঞ্চল, শিক্ষক নেতা থেকে শুরু করে সমস্ত কর্মী ও সমর্থকরা ফুলের তোড়া, মিষ্টির প্যাকেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সংবর্ধনা দেন । তিনি এরকম সম্বর্ধনা পেয়ে আপ্লুত হয়ে তিনি বলেন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এদিন আমার কেশপুরে প্রথম পা রাখা। কেশপুরে এসে এভাবে সম্বর্ধনা পাব ভাবতে পারিনি ।আজ আমার বিশেষ দিন যে ভালোবাসা কেশপুরের মানুষ দিয়েছেন তা কোনদিন আমি ভুলবো না। তিনি আরো বলেন এ করোনার কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি । মন্ত্রী হিসেবে আমাদের প্রথম কাজ করোনার মোকাবিলা করা। তার আগে মানুষকে সচেতন হবে। সবাই মুখে মাক্স ব্যবহার করুন। দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করুন । সচেতন থাকুন । ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে ।

    প্রতিমন্ত্রী হলেও পঞ্চায়েতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরে কাজের সুযোগ প্রচুর৷ নিজের পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছেন শিউলিদেবী৷ তাঁর কথায়, ‘আমি গ্রাম বাংলার মেয়ে৷ ফলে গ্রামীণ এলাকার মানুষ, মহিলাদের কী প্রত্যাশা, চাহিদা সেটা ভালো ভাবে বুঝি৷ আমি কেশপুরের বিধায়ক হলেও গোটা রাজ্যের মন্ত্রী। সেই হিসাবে যে জেলায় যে কাজের বেশি প্রয়োজন, নিজের পরিধির মধ্যে থেকে সেগুলিই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করার চেষ্টা করব৷ যেমন কেশপুরের ক্ষেত্রে বলতে পারি, এখানে কয়েকটি রাস্তা অবিলম্বে করা প্রয়োজন৷ তবে গত দশ বছরে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, বা পঞ্চায়েত দফতরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় যা কাজ করেছেন, তাতে মনে হয় না খুব বেশি কাজ বাকি আছে৷’ এছাড়াও তিনি বলেন, কেশপুরে একটা মহিলা কলেজ তৈরি করা আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করে কেশপুর বাসীকে উপহার দেব। সেই সঙ্গে কেশপুর হাসপাতালকে আরও উন্নতমানের তৈরি ও মোহবনি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি থেকে একটা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড তৈরি করব।

    তিনি আরো বলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো সিনিয়র মন্ত্রীর অধীনে কাজের সুযোগ পাওয়া যাবে৷ সিনিয়র মন্ত্রীর থেকে কাজ শিখতেও তিনি তৈরি৷ তবে আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মতো কোভিড মোকাবিলাকেই প্রাথমিক অগ্রাধিকার দিচ্ছেন শিউলি সাহা ৷