|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: ‘নাবালক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না’ — বুধবার রাজভবনের গেটে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষের পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। ‘একসময়’ শুভেন্দুর ডেরা বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরের ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্রতটে দাঁড়িয়ে সেই ‘নাবালক’ অভিষেক বৃহস্পতিবার যা বললেন, তাতে রাজনীতি ও বয়সে ‘সিনিয়র’ শুভেন্দুর চাপ বাড়তে পারে নিঃসন্দেহে। ‘ইয়াস’ বিধ্বস্ত তাজপুরের ত্রাণ শিবিরে দাঁড়িয়ে ২০২১- এর বঙ্গ ভোটের অন্যতম ‘ম্যাজিক ম্যান’ অভিষেক বললেন, ‘সাবালকরা কাজ করেনি, মানুষের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে বলেই নাবালককে এখন আসতে হয়েছে! সেচমন্ত্রী কে ছিলেন, তা সবাই জানেন। মুখ্যমন্ত্রী তো বলেইছেন, সব তদন্ত হবে। আর আমি নিশ্চিন্ত তদন্ত হলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরোবেই।’
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, তৃণমূল যুব সভাপতি অল্প কথাতেই অনেক কিছু বলে দিয়েছেন। সেচমন্ত্রী হিসেবে শুভেন্দু আর দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের সভাপতি হিসেবে শিশির অধিকারীর ভূমিকা এবার যে আতস কাঁচের তলায় পড়তে চলেছে, সেটাই আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক।
তাজপুরে ঘুরে দেখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরে ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তাজপুরে নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রামনগরের বিধায়ক এবং মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। আশ্বস্ত করে বলেন, ‘৯/১০ তারিখের মধ্যেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণের টাকা।’
পাশাপাশি, কেন মাত্র চার মাসের মধ্যেই নদীবাঁধ ভেঙে পড়ল তা নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। প্রশ্ন তোলেন নদীবাঁধের টাকার ব্যবহার নিয়ে। নাম না করেই দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা শিশির অধিকারীকে এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন তিনি। দুর্গতদের আশ্বস্ত করে জানান, দোষী অবশ্যই শাস্তি পাবেন। জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূলর পক্ষ থেকেও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে।