|
---|
জৈদুল সেখ, নবগ্রাম: ফুলের কুঁড়ি। সবে শরীরে এসেছে যৌবনের হিল্লোল। ঠিক ভাবে ফুটে ওঠার আগেই ঝরে গেল লালসায় । জীবনের ফুল ফোটার আগেই ম্রিয়মাণ হয়ে তা রয়ে গেলে সমাজের বুকে। জীবনে কচি বয়সেই পড়ে গেল পুরুষের লালসার ছাপ। এমনই নাবালিকার ভয়ঙ্কর গণধর্ষণের শিকার মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানায়।
রবি সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম থানার অমৃতকুণ্ডু গ্রামের কাছে জঙ্গলে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময়ে নির্যাতিতা ও তাঁর এক বান্ধিবী মামার বাড়ি থেকে নিজেদের গ্রামে ফিরছিল। তখন কয়েকজন যুবক তাদের জঙ্গলে জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, তার মধ্যে একজন নাবালিকা পালাতে সক্ষম হয়েছিল সেই গ্রামে গিয়ে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা ও নির্যাতিতার বাবা ও কাকা রাতেই জঙ্গলে ওই নির্যাতিতাকে খুঁজতে বার হয়। রাত ১১টা নাগাদ তাঁরা জঙ্গলের মধ্যে নগ্ন অবস্থায় তাঁকে খুঁজে পায়।
অপরাধীদের খিদে পেয়েছিল। শরীরের। ভর সন্ধ্যায় ফাঁকা মাঠে দুই কিশোরীকে হেঁটে আসতে দেখেই তাই ঝাঁপিয়ে পড়তে বেশি দেরী করেনি। এক নাবালিকা দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এক কিশোরী ধরা পড়ে যায় তাঁদের হাতে। এরপর বেশি দেরী করেনি অপরাধীরা। তিন জন মিলে নাবালিকাকে তুলে নিয়ে চলে যায় পাশের জঙ্গলে। সেখানেই তাঁকে নগ্ন করে তিনজনে মিলে গণধর্ষণ করে। অকালেই যোনি ভেদের যন্ত্রণায় কার্যত চেতনা হারায় ওই কিশোরী। তবুও মেলেনি রেহাই। তিন যুবক উপর্যপরি তাঁকে ধর্ষণ করে ৩-৪ ঘন্টা ধরে।
মেয়েটিকে রাতেই নবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এদিন সকালেই তাঁকে বহরমপুরে এনে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। গতকাল রাতেই এই ঘটনার খবর গিয়েছিল নবগ্রাম থানার পুলিশের কানে। তার জেরে রাতেই দায়ের হয় অভিযোগ। পুলিশ এদিন সকালেই এলাকা থেকে সন্দেহজনক ৩ দুষ্কৃতীকে আটক করে। তাঁরা পুলিশের কাছে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তারপরেই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে ও তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইন-সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা দায়ের করে। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠছে নারী আদও সুরক্ষা তো!