|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা: আবেগের বশে মাইনে ফেরতের কথা বলেছিলাম, সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিলাম’, এমনই জানালেন সংবাদ শিরোনামে আসা মুজফফরপুরের নীতীশ্বর কলেজের হিন্দির অধ্যাপক ডঃ লালন কুমার। তিনি জানিয়েছেন, আমি আমার বদলির জন্য ৬ বার আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো শুনানি হয়নি। এজন্য আমার খুব মন খারাপ ছিল। আমি নিজেকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থানে খুঁজে পাইনি। আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি এবং আবেগের বশে এই কাজটা করেছিলাম।তিনি বলেন, পরবর্তীতে কয়েকজন সিনিয়র লোকজন ও সহকর্মীদের সাথে আলাপ করে বুঝতে পারি, আমার এটা করা উচিত হয়নি। পাশাপাশি তিনি জানাচ্ছেন, এবার তিনি স্বেচ্ছায় লিখিত ও মৌখিক সব ইচ্ছা তুলে নিলেন।প্রসঙ্গত,সম্প্রতি কলেজ প্রশাসনকে দুই বছর নয় মাসের বেতন বাবদ পাওয়া ২৩ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিহারের সহকারী অধ্যাপক লালন কুমার।লালন কুমার বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিতিশ্বর সিং কলেজে কর্মরত। বিহারের মুজফফরপুরে অধ্যাপক লালন কুমার তাঁর বেতন ফেরত দেওয়ার দাবি করে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। সবাই তার এই পদক্ষেপের প্রশংসা করতে শুরু করে কারণ তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি ক্লাসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য কলেজ প্রশাসনের কাছে তার দুই বছরের বেতন ফিরিয়ে দিয়েছেন।অধ্যাপক লালন কুমার নিতিশ্বর কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মনোজ কুমারের লিখিত ক্ষমা প্রার্থনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ডঃ আর কে ঠাকুরের কাছে প্রেরণ করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ এই ক্ষমাপ্রার্থনা রেজিস্ট্রারের হাতে তুলে দিয়েছেন।