ভাড়া না মেলায় কপালে চিন্তার ভাঁজ মডেল শিল্পীদের

বাবলু হাসান লস্কর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা :
আবাল বৃদ্ধ বনিতা থেকে শুরু করে সকলের মনোরঞ্জন করা শিল্পীদের এই মুহূর্তের আর্তনাদ, আমাদের পরিবারের দিকে তাকান। মডেল শিল্পীরা সব ধরনের অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে বাড়ি, জন্মদিন, অন্নপ্রাশন,খেলার মাঠ, প্রতিমা নিরঞ্জন, রাজনৈতিক মিছিল, মনীষীদের জন্মদিন থেকে শুরু করে আনন্দ বিনোদনের অনুষ্ঠানগুলিতে কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সকলের মনোরঞ্জন করা এদের লক্ষ। ইতিপূর্বে তারা প্রায় প্রতিনিয়ত ভাড়া পেত,এতেই ভালোই চলছিল তাদের সংসার।তার পর এল লগডাউন। দীর্ঘদিন ধরে চলা লকডাউন, তাতেই এই সমস্ত পেশার সাথে যুক্ত পরিবার গুলি কাজ হারায়। বাড়িতে বসে আজ তারা তাদের প্রোগ্রাম নিজেদের মোবাইল ফোন থেকে আপলোড করছেন, বিভিন্ন স্যোসাল সাইটে। কম্পিউটারে ভালো দক্ষতা তাদের না থাকলেও নিজেদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে আপলোডের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের তোলা ছবি স্যোসাল সাইটের সুবাদে, এই ডিজিটাল মাধ্যমের দৌলতে যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি কিম্বা পূজা উদ্যোক্তারা তাদেরকে বায়না করেন, তা হলেএই পূজার আনন্দ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তবেই পৌঁছাবে,তারই আশায় প্রহর গুনছেন মডেল শিল্পীরা। পূজার আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি, এখনো পর্যন্ত তাদের ডাক না মেলায় শিল্পী দের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তারা চাচ্ছেন বিভিন্ন মিডিয়া তাদের এই করুন চিত্র সম্প্রচারিত করুক। মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের কোন না কোন পূজা উদ্যোক্তা ডাকবে এমনি আশা করছেন এই পেশায় সাথে যুক্ত কলাকুশলীরা। এমনি প্রত্যাশায় তাকিয়ে রয়েছেন তারা। করোনা নামক মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে গৃহবন্দি। তার ফল সরূপ মানুষদের মনের মাঝে আনন্দ বিনোদন দেখা মিলছেনা। বিশেষ করে বিভিন্ন শিল্পী জগত যেভাবেই সরকারের দেওয়া সাম্মানিক পাচ্ছেন । দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় সাথে যুক্ত কলাকুশলীদের জন্য আধিকারিকদের নজরে আসে তারই আশায় বুক বেঁধে দিন যাপন করছেন তারা।