বেকার সমস্যার সমাধানে কোনও রাস্তাই নেই মোদির হাতে! স্কিল ইন্ডিয়া

একটি প্রাচীন প্রবাদ ‘শূন্য কলসির আওয়াজ বেশি’৷ অথবা ‘যত গর্জায় তত বর্ষায় না’৷ কথাগুলি মনে পড়ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কিছু প্রকল্পকে ঘিরে৷ ক্ষমতায় এসেই তিনি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্কিল ইন্ডিয়া’ ইত্যাদি নানা প্রকল্প ঘোষণা করেছিলেন৷ শুনে শিক্ষিত মানুষজনেরও একটা বিরাট অংশ ধন্ধে পড়েছিলেন, কী প্রসব করবে এই প্রকল্পগুলি? ‘বিশেষজ্ঞ’রা অনেক কসরৎ করে বিশ্লেষণ করে দেখানোর চেষ্টা করলেন এগুলি কর্মসংস্থান ঘটাবে৷ শুনে অনেকেরই ভিরমি খাওয়ার মতো অবস্থা৷ তাঁদের প্রশ্ন, কর্মসংস্থানই যদি লক্ষ্য হয়, তাহলে সরাসরি কর্মসংস্থান প্রকল্প বললেই তো হত, এসব গালভরা চমক দেওয়ার নামের কী প্রয়োজন ছিল?

    কেন্দ্রীয় সরকারের Project “Skill India” যার প্রধান লক্ষ্য ছিল সারা দেশে স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে Computer শিক্ষা প্রদান করা, যার দায়িত্ব পেয়েছিল বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। কয়েক হাজার ছেলে মেয়ে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এবং তাদের মধ্যে বেশ কিছু ছেলেমেয়ে পশ্চিম বঙ্গের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ পায়। তবে দুর্ভাগ্য অধিকাংশ দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করে ও বেতন পায়নি এবং অনেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ও কাজ পায়নি। প্রশিক্ষণের জন্য ৩৫ হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছিল এবং লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ হিসাবে ও তোলা হয়েছিল। অধিকাংশ সংস্থা লা পাতা, অফিস বন্ধ হয়েছে ইতিমধ্যে সংস্থাগুলির এবং কয়েকটি সংস্থার কোন পারমিশন ছিলো না, কেস করে জানা গেছে।সরকারী স্কুলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে প্রতারক দের কাছে আবার প্রতারিত হাজার হাজার প্রশিক্ষন প্রাপ্ত Computer শিক্ষক গন। আজকে হাওড়া ময়দান থেকে নবান্ন অভিযান ছিল কিন্তু পুলিশের হস্তক্ষেপে তা হতে দেওয়া হল না। পুলিশ গ্রেফতার করলো বিক্ষোভকারীদের অথচ পুলিশ প্রশাসন কে জানানো হয়েছিল কয়েক দিন আগে। সরকারি মদতে চাকরির নামে এ রাজ্যে প্রতারনা নতুন কিছু নয়। তবে এবার কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথভাবে প্রতারণার শিকার কর্মপ্রাথী যুবকযুবতীরা। বেকারত্বের হারও ও অর্থনৈতিক বেহাল পরিস্থিতে সাধারন ও নিম্নবর্গের মানুষের সাথে প্রতারনা আর হতাশার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বহু কর্মপ্রাথী বাড়ির ভিটেমাটি বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছেন অথচ সরকারী তরফে কোন হেলদোল নেই। এমন প্রতারকদের বিচার কোন দিন হবে? না তারা টাকা পয়সা হাতিয়ে সরকারি নেতা-মন্ত্রীদের সহযোগিতায় বিদেশে পলায়ন করে বিলাসবহুল জীবন যাপন করবেন।আজকের প্রতিবাদ মিছিলে সহযোগিতা করেন সমাজ সেবি সংগিতা চক্রবর্তী ও ডঃ মুহাম্মদ ইসমাইল। সংগিতা চক্রবর্তী সহ বহু কর্মপ্রাথীদের হাওড়া ময়দান থানার পুলিশ গেপ্তার করেন। যা দেখে অনেকেই অবাক- দেশ ও রাজ্যে সাধারন মানুষ ও প্রতারিত জনগন অধিকার রক্ষার দাবি দাওয়া নিয়ে প্রতিবাদ টুকু করতে পারবে। তবে স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা কোথায়? বাক স্বাধিনতা থেকে প্রতিবাদ, মিছিল ও প্রতারনার কথা ও যদি জানাতে না পারে-তবে মানুষ এমন বাকরুদ্ধ হয়ে ঠক ও দালালের অত্যাচার কত দিন মেনে নিতে হবে। সমাজ সেবি ডঃ ইসমাইল বলেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মদতে দালাল চক্রের রমরমা চলছে দেশজুড়ে আর সরকারের বহু নেতামন্তী লুটেরাদের লুটের টাকা নিয়ে তাদের আড়াল করছেন। এমন ভয়াবহতার বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াইয়ে সামিল হতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত সরকার গড়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।