|
---|
জাকির হোসেন সেখ, ১৬ মে, নতুন গতি: ভিন্ন সময়ে হলেও প্রচারের শেষ দিনে একই কেন্দ্র থেকে আবারও আজ বাক্যবাণে একে অপরকে বিঁধলেন রাজনীতির দুই মহাযোদ্ধা। একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অন্যজন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফায় ভোট গ্রহণের আগে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দলের প্রচারের শেষ দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার। নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই আজ রাত ১০টায় শুধু পশ্চিমবঙ্গেই বন্ধ হওয়ার কথা সবদলের প্রচার। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের কলকাতায় রোড শো নিয়ে সৃষ্ট গন্ডগোলের জেরে নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারের সময় কমিয়ে আজ রাত ১০টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই শেষ দিনের প্রচারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনীতির ময়দান। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বেলা ১টায় শেষ নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। পাশাপাশি একই কেন্দ্রে বিকেলে জনসভা করতে এসে প্রধানমন্ত্রী মোদিও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সন্ধ্যার পর মোদি দ্বিতীয় জনসভা করেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রে।
মথুরাপুরে তিনি বলেন, “দিদির পাততাড়ি গোটানোর সময় এসে গেছে। তিনশোর বেশি আসন পেয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। আর এই ৩০০ পেরোতে সাহায্য করবে দিদির এই বাংলা।”
খবরে প্রকাশ যে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অমিত শাহের রোড শো ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল গন্ডগোলে কলেজ স্ট্রিটের বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে। আজ মোদির বক্তব্যেও উঠে আসে সেই মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ। সভা থেকে তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। মূর্তি ভেঙে এবার তারা প্রমাণ লোপাট করছে। যেমনটা করেছে, সারদা, রোজভ্যালি এবং নারদ কেলেঙ্কারি মামলায়।”
সকালে অন্য রাজ্যের সভা থেকে বলা পঞ্চধাতু দিয়ে বিদ্যাসাগরের মুর্তি তৈরি করে দেবার কথা তিনি মথুরাপুরের সভা থেকেও আবার বলেন।
মোদীর আগে অবশ্য ওই মথুরাপুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘’বিজেপির নেতা অমিত শাহের নেতৃত্বে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে বিজেপি। এখন মূর্তি ভেঙে তা বানিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন মোদি। ওদের কাছ থেকে কেন মূর্তি নেব। মূর্তি আমরাই বানিয়ে দেব। বাংলা ওদের কাছে ভিক্ষে চায় না।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘’সাম্প্রদায়িক উসকানির জবাব দেবে বাংলার মানুষ। দেশের মানুষ। কোনমতেই আর ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন না মোদি। বিজেপি পরাজিত হবে সব রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গে একটি আসনও পাবে না বিজেপি।’’