|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: দেশজুড়ে শুরু করোনার গণটিকাকরণ। টিকাকরণের শুভ সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন একই সঙ্গে লঞ্চ করা হল কো-উইন অ্যাপেরও। সমস্ত প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হল ভার্চুয়াল মাধ্যমে। এদিন টিকাকরণের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জরুরি বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে সতর্ক করেন যে টিকা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোভিড বিধি লঙ্ঘন করা যাবে না। টিকাকরণের কী কী নিয়ম অবশ্যই মেনে চলতে হবে, এ বিষয়েও বিস্তর জানান তিনি।
প্রথমেই দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মোদী জানান যে একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে প্রায় এক বছর সময় লেগে যায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক বছরে দুটো টিকা তৈরি করে দেখিয়েছে ভারত। এটাই ভারতের বিজ্ঞানীদের দক্ষতার প্রমাণ। তাঁর ধারণা মানুষ চেষ্টা করলে পাথরও গলে জল হয়ে যায়। দিনরাতের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই এই সাফল্য এসেছে বলে মনে করেন তিনি। এও বলেন যে ধীরে ধীরে টিকা দেশের প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছবে। তবে সকলের আগে টিকা পাবেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের সাফাইকর্মীরা। সরকারী হাসপাতাল বা বেসরকারি নার্সিং হোম, সবক্ষেত্রেই এই নিয়ম থাকবে। এরপর টিকা পাবেন যারা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যেমন সেনা, সুরক্ষা বাহিনী, পুলিশ, দমকল বাহিনী, পুর ও পঞ্চায়েত সাফাইকর্মী প্রমুখ। মোদী এও জানান যে এদের সকলের টিকাকরণের খরচ বহন করবে ভারত সরকার। তিনি এও বারবার জানান যে, টিকার দুটো ডোজই নিতে হবে। প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজ কবে নিতে হবে, তা ফোনেই জানিয়ে দেওয়া হবে। দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান থাকবে একমাসের। দ্বিতীয় ডোজের দুই সপ্তাহ পর আমাদের শরীরে করোনা প্রতিরোধী হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এও জানান যে ভারতে সঠিক সময়ে লকডাউন করা হয়েছে। বিশ্বের সামনে উদাহরণ তৈরি করেছে ভারত। ভারতে করোনায় মৃত্যুর হারের থেকে সুস্থ য়ে ওঠার অনেক বেশি। তিনি এও জানান যে এই টিকাকরণ কর্মসূচীতে যারা যারা ভলেন্টিয়ার হতে চান, তাদের স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, সরকারের তরফে জানানো হয়েছে কো-উইন অ্যাপে যদি কোনওরকমের সমস্যা দেখা দেয়, তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনলাইন টেকনিক্যাল টিম সহযোগিতা করবে। টিকাকরণের সমস্ত তথ্য যাতে অনলাইনে আপলোড করা যায়, সেই ব্যাক-আপ ব্যবস্থাও থাকবে। টিকাকরণ নিয়ে যাতে কোনও ভ্রান্তধারণা তৈরি না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখা হবে।