পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে ২০ তম র‍্যাঙ্কে নজরকাড়া সাফল্য মোহাম্মদ সরফারাজের

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে ২০ তম র‍্যাঙ্ক করে মাধ্যমিক ২০২২ নজরকাড়া সাফল্য মোহাম্মদ সরফারাজের

    নতুন গতি,  জঙ্গিপুর:  বিগত বছরের মত এ বছর ও মাধ্যমিক ২০২২এ নজরকাড়া সাফল্য ক্রিসেন্ট একাডেমি উমরপুরের ।  এই প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৬৭৪ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে মোহাম্মদ সরফরাজ ( বাংলা- ৯১, ইংরেজী- ৯৫, অংক- ৯৯, ভৌতবিজ্ঞান- ৯৮, জীবনবিজ্ঞান – ৯৫, ইতিহাস- ৯৭ , ভূগোল- ৯৯ ) ।  মুর্শিদাবাদ জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা এক ইমাম সাহেবের ছেলে আমেরিকায় জনসন এন্ড জনসন কোম্পানিতে কর্মরত পদার্থবিজ্ঞানী মোঃ সাইদুর রহমান ও উনার সহধর্মিনী জলি খাতুন এর ভাবনায় ও আল-আমিন মিশনের সহযোগিতায় তৈরি হয় এই প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি ।  মাত্র ৩৫ জন ছাত্র নিয়ে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানে আজ প্রায় ২০০ কাছাকাছি ছাত্র পাঠরত ।  এবছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে ৬৭২ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছে তৌফিক মামুদ ( বাংলা- ৯৬ , ইংরেজি – ৯৩, অংক – ১০০, ভৌতবিজ্ঞান – ৯৭ , জীবন বিজ্ঞান-৯৬ ) ও ৬৫৭ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছে মোঃ নবাব আলী শেখ।  মোহাম্মদ সরফরাজ এবং তৌফিক মাহমুদ এর বাবা দুজনেই মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের হাতুড়ে চিকিৎসক এবং মোহাম্মদ আলী শেখের বাবা অর্থোপেডিক প্রতিবন্ধী ও আর্থিক অনটনের সংসদ এর মধ্যে আল-আমিন মিশনের সহযোগিতায় তৈরি ক্রিসেন্ট একাডেমিতে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিচর্যার ফলে তাদের সন্তানের এই চমকপ্রদক হল হয়েছে বলে জানান কৃতি ছাত্রের অভিভাবকরা ।  বিজ্ঞানী সাইদুর রহমানের শিক্ষা ক্ষেত্রে এই কর্মযজ্ঞ কে সাধুবাদ জানান সফল ছাত্রের পরিবার ।  কৃতি ছাত্রদের চোখের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন লালিত অদূর ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আল আমিন মিশন খলতপুর শাখায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে মোহাম্মদ সরফরাজ এবং তৌফিক মামুদ।

    বিজ্ঞানী মোঃ সাইদুর রহমান সুদর আমেরিকা থেকে সফল ছাত্র দের অদূর ভবিষ্যতে আরও উচ্চতর সাফল্য কামনা করেন এবং উনি উনার ভাবনাকে আরো ভালোভাবে বিস্তার ও বাস্তবায়ন করবেন বলে জানান ।  ক্রিসেন্ট একাডেমির ডীরেক্টর মোঃ সোবিউল ইসলাম জানান , গুণগত মান বিশিষ্ট শিক্ষাকে সমাজের প্রান্তিক থেকে প্রান্তিকতর স্তরে পৌঁছে দিতে আল-আমিন মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্যার মোহা: নুরুল ইসলাম এর পাশাপাশি বিজ্ঞানী সাইদুর রহমানের মত ব্যক্তিদের আরো বেশি করে এই অসম লড়াইয়ের ময়দানে নামার প্রয়োজন ।