মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন সমুদ্রগড়ের কংগ্রেস নেতা।

লু তুব আলি : মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন সমুদ্রগড়ের কংগ্রেস নেতা। সারা রাজ্যব্যাপী বিজেপি র ভাঙ্গনের পর এবার শুরু হল কংগ্রেসের ভাঙ্গন। পূর্ব বর্ধমান জেলার সমুদ্রগড়ের কংগ্রেস নেতা গোবিন্দ রায় চৌধুরী সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। এই যোগদানের পর পরই গোবিন্দ বাবুর অনুরাগীরা তৃণমূল কংগ্রেসে সদলবলে যোগদান করবেন বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে। গত বিধানসভা ভোটের আগে সমুদ্রগড় এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে ছিল। বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির শোচনীয়ভাবে পরাজয় ঘটে। ফলে সমুদ্রগড় ও কালনা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নতুন করে অক্সিজেন পায়। সমুদ্রগড় এলাকা গুলি রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তর এর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর গড় হিসাবে পরিগণিত। এদিন সমুদ্র গড়ে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি বাংলার প্রতি বঞ্চনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি এবং সর্বোপরি কেন্দ্রের কাছে একশ দিনের কাজের বকেয়া পাওনা পাওয়ার দাবিতে ধিক্কার মিছিল ও জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই জনসভাতে বক্তব্য রাখেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জন স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বাবুল ইসলাম সহ স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস থেকে আসা গোবিন্দ রায় চৌধুরী। তিনি তৃণমূলে যোগদান করার পর বলেন, দলের সমস্ত অনুশাসন তিনি মেনে চলবেন ও দল যা দায়িত্ব দেবেন তা তিনি একজন সৈনিকের মতো দায়িত্ব পালন করবেন ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আরো শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলবেন। অন্যদিকে এদিন নাদন ঘাটে একটি বিরাট জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। দুটি জনসভাতেই মূল বক্তার ভূমিকা পালন করেন বাবুল ইসলাম। দলকে শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তুলতে বাগবুল ইসলামের নেতৃত্ব ও এলাকায় বিশেষ ভাবে পরিলক্ষিত হয় বলে অনেকে জানান। এই দুটি জনক সভায় জনসমুদ্রের প্লাবন দেখা গিয়েছিল।