শুক্রবার রাতে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইল বাহিনীর হামলায় আহত দুই শতাধিক মুসলিম

নতুন গতি, ওয়েব ডেস্ক : গতকাল শুক্রবার রাতে জেরুজালেমে সংঘর্ষে প্রায় 200 জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট ইমারজেন্সি সার্ভিস এবং ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে। অধিকাংশ আহত হয়েছে আল-আকসা মসজিদে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের ছোঁড়া পাথর আর বোতলের জবাবে ইসরায়েলি পুলিশ রাবার বুলেট এবং স্টান গ্রেনেড ছুঁড়েছে। গতকাল রমজান মাসের শেষ জুমা নামাজের পর রাতে এই হামলা চালায় ইসরাইল বাহিনী।

     

    ওই এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা চলছে, কারণ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের জন্য পূর্ব জেরুজালেমের বাড়িঘর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করার সম্ভাবনায় প্রতিদিনই কলহ তৈরি হচ্ছে।

    আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের কাছে অন্যতম শ্রদ্ধার স্থান, এই মসজিদের সাথে ইসলামের ইতিহাস জড়িত আছে, বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই মসজিদ থেকে মেরাজ অর্থাৎ আল্লাহর কাছে সাক্ষাত করতে গিয়েছিলেন।

    ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেছে, এদিন সন্ধ্যার নামাজের পর ‘হাজার হাজার ধর্মাবলম্বী দাঙ্গা শুরু করলে’ তারা ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য’ শক্তি প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছে।

    আল-আকসার একজন কর্মকর্তা মসজিদের লাউডস্পিকারে সবাইকে শান্ত থাকার আহবান জানান। রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানাচ্ছে, লাউডস্পিকারে তিনি বলছিলেন, ”পুলিশ বাহিনী অবিলম্বে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ বন্ধ করুন। । তরুণরা শান্ত হোন।

     

    মাসজিদুল আল আকসার উপর হামলা অর্থাৎ বিশ্ব মুসলিমদের হৃদয়ে হামলা কারণ এই মসজিদের নাম কোরান মসজিদে উল্লেখ আছে। এদিনের এই হামলার ওপর বাংলাদেশের খেলাফত মজলিস এক বিবৃতি দেন।

     

    শুক্রবার রাতে জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর ইহুদীবাদী ইসরাইলী বাহিনীর বর্বরোচিত হামলায় প্রায় দুইশত মুসল্লিকে রক্তাক্ত ও আহত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরাইলী নির্যাতন বন্ধ ও দখলদারিত্ব অবসানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের খেলাফত মজলিস।

     

    আজ শনিবার এক বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, অবৈধ ইহুদীবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পুলিশবাহিনী গত শুক্রবার রাতে আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর গুলি, টিয়ারসেল, গ্রেনেড হামলা চালিয়ে প্রায় ২০০ মুসল্লিকে রক্তাক্ত ও আহত করেছে। যাদের মধ্যে অনেকে হাসপাতালে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। রমজান মাসে আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় বিশ্ব মুসলিম চরমভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ।

     

    ইহুদীবাদী ইসরাইলী বাহিনী বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়ে পবিত্র আল-আকসা মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট করেছে। অবিলম্বে ফিলিস্তিনী জনগনের উপর পরিচালিত ইসরাইলী নৃশংসতা বন্ধ করতে হবে। আল-আকসা মসজিদকে মুসলমানদের ইবাদত বন্দেগীর জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। ইহুদীবাদী ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করতে হবে। একইসাথে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মুসলমানদের উপর চলমান জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।

     

    বিবৃতিতে তিনি পবিত্র আল-আকসা মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের উপর ইহুদীবাদী ইসরাইলী বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য জাতিসঙ্ঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব মুসলিম ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।