|
---|
নতুন গতি নিউজ ডেস্ক: পুরভোটের আগে অর্জুন-গড়ে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের পাঁচশোরও বেশি বিজেপি নেতা, কর্মীর তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন। এদের মধ্যে ছিলেন ব্যারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরও। যিনি বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন।
গতকাল বিটি রোডে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী ও দমদম-ব্যারাকপুর জেলা কমিটির সভাপতি পার্থ ভৌমিক। একই অনুষ্ঠানে তৃণমূলে নাম লেখালেন ভাটপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির দুই মণ্ডল সভাপতি। দলত্যাগীদের দাবি, উন্নয়নে সামিল হতেই শাসকদলে যোগদান। দলবদলে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। ভাটপাড়ায় ভাঙন নিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন দলের জেলা কমিটির সদস্য। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আচরণেই দলীয় কর্মীদের হতাশা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামীদিনে ব্যারাকপুর ও ভাটাপাড়া বিজেপি-শূন্য হতে চলেছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত। ফের উত্তর ২৪ পরগনায় ফাটল ধরল গেরুয়া শিবিরে। চলতি মাসেই হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপিতে ভাঙন ধরে।। তৃণমূলের দাবি, হাড়োয়া বিধানসভার দেগঙ্গায় বিজেপি নেতা সহ প্রায় ২০০ কর্মী বুধবার যোগ দেন তাদের দলে। হাড়োয়ার বিধায়ক শেখ হাজি নুরুল ইসলামের হাতে থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নেন যোগদানকারীরা।
উল্লেখ্য, চলতি বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবং তার আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদানের কার্যত ঢল নেমেছিল। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেই তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের একাংশ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের কয়েকজন প্রথম সারির নেতাও। বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে। তারপর থেকে উল্টোস্রোত। বিভিন্ন দল থেকে তৃণমূল যোগদানের ঢল চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েকজন দলত্যাগী নেতা তৃণমূলে ফিরেছেন।