বাঁকুড়ায়  তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে কর্মতীর্থের  অধিকাংশ দোকান যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসক-বিরোধী তরজা

নিজস্ব সংবাদদাতা : বাঁকুড়ায়  তালাবন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে কর্মতীর্থের  অধিকাংশ দোকান। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে শাসক-বিরোধী তরজা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কর্মতীর্থের স্টল বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসক দল।নামেই কর্মতীর্থ, অথচ বিক্রিবাটা হচ্ছে না বললেই হয়। রয়েছে পানীয় জল, শৌচাগার, পার্কিং প্লেসের সুব্যবস্থা। অথচ একের পর এক স্টল পড়ে রয়েছে তালাবন্ধ হয়ে। যে কটি স্টল খোলা, সেখানে ক্রেতার অপেক্ষায় বসে আছেন বিক্রেতারা।স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহিত করতে বাঁকুড়ার ২২ টি ব্লকে তৈরি করা হয়েছে সুসজ্জিত একাধিক কর্মতীর্থ। অথচ পরিকল্পনার অভাবে তার কার্য়কারিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আবেদন করা সত্ত্বেও স্টল পাইনি। স্বজনপোষণ চলছে।শহর থেকে অনেকটা দূরে কর্মতীর্থগুলি গড়ে ওঠায় সেভাবে বিক্রিবাটা হচ্ছে না, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের একাংশের। এনিয়ে ব্যবসায়ী অভিজিৎ রায় বলেন, কর্মতীর্থতে ঠিকভাবে স্টল বণ্টন হয়নি। কেউ কেউ স্টল নিয়ে ফেলে রেখেছেন। গোডাউন হিসাবে ব্যবহার করছেন, খোলা হচ্ছে না।কর্মতীর্থে স্টল বণ্টন নিয়ে সুর চড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তারা। বিজেপি নেতা পার্থ কুণ্ডু বলেন, শাসকদলের নেতার নিজেদের কাছের লোকেদের স্টল পাইয়ে দিয়েছেন। পুরোপুরি স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি চলছে।যদিও বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু বলেন, বিজেপি অকারণ রাজনীতি করছে। এই স্টলগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছে। সব স্টল খোলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা স্টল খুলছেন না তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। এভাবে চললে তাঁদের থেকে স্টল ফেরত নিয়ে অন্যদের দেওয়া হবে।এখন দেখার, বাঁকুড়ার কর্মতীর্থ নিয়ে বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়!