দোনা গ্ৰামের ভট্টাচার্য বাড়িতে স্বয়ং মা দুর্গার পায়ের ছাপ!

দোনা গ্ৰামের ভট্টাচার্য বাড়িতে স্বয়ং মা দুর্গার পায়ের ছাপ!

    রাহুল রায়,পূর্ব বর্ধমানঃ গত সোমবার বিজয়া দশমীর দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া ২নং ব্লকের করুই অঞ্চলের দোনা গ্ৰামের ভট্টাচার্য বাড়িতে নাকি স্বয়ং মা দুর্গার পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। অনেকেই সিঁদুর মাখা পায়ের ছাপ দেখে মোবাইলে ছবি তুলে রাখেন। কেউ কেউ আবার ওই পায়ের ছাপ থেকে সিঁদুর সংগ্ৰহ করার চেষ্টা করেন। পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, দশমীর দিন ঘট বিসর্জনের সময়ই ঘটনাটি লক্ষ্য করা যায়। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যদের একাংশ জানিয়েছেন দশমীর ঘট বিসর্জনের সময় পুরোহিত স্তোত্রপাঠ করেন। তারপর তিনি নিময় অনুযায়ী ঘট নড়িয়ে দেন। এরপর পরিবারের এক গৃহবধূর সহ অনেকেই দেখেন, মন্দিরে একটি সিঁদুর মাখা মায়ের ডান পায়ের ছাপ রয়েছে। তারপর তাঁরা ওই ছাপ অনুসরণ করতে গিয়ে দেখেন মা দুর্গার মন্দিরের পিছনে ভৈরবনাথ মন্দির পর্যন্ত ছাপটি রয়েছে। এরপরই তাঁরা পুকুর পাড়ে গিয়ে দেখেন, সিঁদুর মাখা পায়ের ছাপ আছে। তারপরই পরিবারের একাংশ দাবি করেন করেন, ওই পায়ের ছাপ দেবী দুর্গার। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। সেই পায়ের ছাপ দেখতে পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষেরা ভিড় করতে শুরু করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে কাটোয়া ২নং ব্লকের করুই অঞ্চলের দোনাগ্ৰামের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গা পুজো হল প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। বোধনবমী থেকে দুর্গাপুজো শুরু হয়। দোনাগ্ৰামে ভট্টাচার্য বাড়ির মন্দিরে জোরা প্রতিমার পুজো করা হয়। মাকে তর্পণ দিয়ে পুজো হয়। সন্ধ্যায় পুরোনো রীতি মেনেই জলঘড়ির হিসাবে সময় নির্ধারণ করে পুজো হয়। এই পুজো নিয়ে অনেক জনশ্রুতি আছে ।এইদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে মন্দিরের কিছুটা দূর থেকে একাধিক জায়গায় একটি করে পায়ের অস্পষ্ট ছাপ রয়েছে। তবে সেটা আদৌ মা দুর্গার, নাকি অন্য কোনও ঘটনা, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিঞ্জানমনষ্করা। তবে পরিবার ও গ্ৰামের মানুষজনের বিশ্বাস, স্বয়ং মা দুর্গা তাঁদের গ্ৰামে পা রেখেছেন।