|
---|
নতুন গতি ওয়েব ডেস্ক: বেতন কাঠামো পুনর্গঠন–বেতন নিয়ে পার্শ্বশিক্ষকেরা নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার ধুন্ধুমার হল ময়দান চত্বরে। শিক্ষক সংগঠকদের অভিযোগ, আদালতের অনুমতি নিয়েই তাঁরা নবান্ন অভিযান শুরু করলেও পুলিশ তাঁদের আটকে ফের শহিদ মিনার চত্বরের ময়দানে ফিরিয়ে দেয়। সেখানে ওই শিক্ষকেরা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। এর আগে একই দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল আন্দোলনকারীদের। এমনকী ঘেরাও করা হয় বিকাশ ভবনও। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেননি বলে অভিযোগ পার্শ্বশিক্ষকদের। এরপরই বৃহত্তর আন্দোলনের পদক্ষেপ হিসেবে নবান্ন অভিয়ানের ডাক দেওয়া হয়।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চ, শিক্ষাবন্ধু যৌথমঞ্চ, পার্শ্বশিক্ষক সংগঠন, এসএসকে এমএসকে শিক্ষক সংগঠন, বৃ্ত্তিমূলক শিক্ষক সংগঠন, কম্পিউটার শিক্ষকদের সংগঠন, মাদ্রাসা শিক্ষক সংগঠন–সহ ১৩টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা জড়ো হয়েছিলেন শহিদ মিনারের ময়দান চত্বরে। সেখান থেকেই তাঁরা মিছিল করে নবান্নের দিকে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে পুলিশ তাঁদের বাধা দিতে গেলে শিক্ষকেরা ব্যারিকেড টপকে চলে যান। শেষে পুলিশ ফের ডাফরিন রোডের কাছে তাঁদের আটকে দেয়। সেখানেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি। পুলিশের অভিযোগ, পার্শ্বশিক্ষকদের অভিযান শুরুর আগেই রেড রোড, শহিদ মিনার, লেডি ডাফরিন রোড ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। সেই ব্যারিকেড ভেঙে নবান্নের পথে এগোনোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। ফলে শুরু হয় পুলিশ–বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের ধস্তাধস্তি। পরে লেডি ডাফরিন রোড–সহ কয়েকটি জায়গায় অবস্থানে বসে পড়েন আন্দোলনকারী।
ঘটনার জেরে কয়েকজন শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়ার পাশাপাশি কয়েকজন পুলিশকর্মীও আঘাত পান। পুলিশ বিক্ষোভরত শিক্ষকদের একাংশকে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেয়। কিছুক্ষণ পরে তাঁদের ছেড়েও দেওয়া হয়। শিক্ষকেরা নবান্ন অভিযানে বাধা পেয়ে শহিদ মিনার চত্বরে ফিরে এসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধরনা উঠবে না। এরপরে বিকেল পাঁচটা থেকে প্রায় ৫০০ জন শিক্ষক অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশন শুরু করেন। এই প্রথম নয়, আগেও পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশি দমনপীড়নের অভিযোগ উঠেছিল। এবারও একই অভিযোগ উঠল। দাবিদাওয়া না মেটা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে।