হাওড়া পুরসভার ভোট নিয়ে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে চান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম

নিজস্ব সংবাদদাতা : হাওড়া পুরসভার ভোট নিয়ে নতুন রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে চান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার হাওড়ার পুরভোট ও নতুন রাজ্যপাল সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে হাওড়ার পুর নির্বাচনের বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর পুরপ্রশাসক বোর্ড দীর্ঘ সময় ধরে পুরসভার কাজ সামলেছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হাও়ড়া পুরসভার ভোট করাতে চেয়েছিল পুর দফতর। কিন্তু বাধা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সম্প্রতি উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। আপাতত দায়িত্বে মণিপুরের রাজ্যপাল লা গণেশন।তাই রাজ্যপাল বদল হওয়ার পরেই হাওড়ার পুরভোট নিয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে পুর দফতর। ফিরহাদ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল কখন থাকছেন, আর কখন থাকছেন না, তা জানতে পারছি না। তবে আমি শীঘ্রই তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে হাওড়ার পুরভোট নিয়ে কথা বলব।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে হাওড়া পুরবোর্ড প্রথম বার দখল করে তৃণমূল। ২০১৫ সালে বালি পুরসভার ১৬টি ওয়ার্ড তৈরি করে হাওড়ার সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৬টি।গত বছর বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে পাশ হয়েছে ‘হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (সংশোধনী) বিল, ২০২১’। এর ফলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৬৬ থেকে কমে ফের ৫০-এ দাঁড়িয়েছে। বালিকে হাওড়া থেকে আলাদা করে দেওয়ার পরে হাওড়া পুরসভার যে অংশ পড়ে রইল, তার পুনর্বিন্যাস করেই ৫০টি ওয়ার্ড হয়। হাওড়া পুরসভায় আগে ৫০টি ওয়ার্ডই ছিল। ২০১৫ সালে ৩৫টি ওয়ার্ডের বালি পুরসভাকে ১৬টি ওয়ার্ডে পরিণত করে হাওড়ার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন হাওড়া ও বালি দু’টি পৃথক পুরসভা। এবং দু’টি পুরসভাতেই ভোট বকেয়া রয়েছে।কারণ বিলটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন রাজ্যপাল সরকারের কাছে জবাব তলব করেছিলেন। সেই জবাব না মেলায় হাওড়া বিলে সম্মতি দেননি তিনি। এ বার ধনখড় রাজভবন ছাড়তেই হাওড়ার পুরভোট করাতে উদ্যোগী রাজ্য সরকার।