|
---|
খান আরশাদ, বীরভূম:
বীরভূমের খয়রাশোল ব্লকের কাঁকরতলা থানা এলাকায় খুন, বস্তাবন্দী দেহ উদ্ধার ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল।
বাড়ি থেকে ঘাস কাটতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যাক্তির শেষ পর্যন্ত বস্তাবন্দী অবস্থায় নিথর দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষজন।
জানা গেছে গত সোমবার দিন বীরভূমের কাঁকরতলা থানার সাহাপুর গ্রামের বছর ৩৮ এর সেখ ইনসান নামের এক ব্যাক্তি দুপুর ১টা নাগাদ ঘাস কাটার জন্য স্থানীয় এলাকায় PDCL এর হজরতপুর লাগোয়া সাইডিং এর ধার পাশে গিয়েছিল। কিন্তু বিকেল চারটে পর্যন্ত ইনসান বাড়ী না ফেরায় বাড়ীর লোকেরা খোঁজাখুঁজি করলেও তাকে পাওয়া যায় নি। এনিয়ে স্থানীয় কাঁকরতলা থানায়ও জানানো হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। বুধবার গ্রামের সমস্ত লোকজন একপ্রকার চিরুনি তল্লাশি অভিযান শুরু করেন।অবশেষে এদিন বুধবার সকাল দশটা নাগাদ হজরতপুর সাইডিং লাগোয়া জলজমাকৃত একটি ছোট ডোবার মধ্যে একটা বস্তা পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। বস্তার মুখ খুলতেই নিখোঁজ ইনসানের টুকরো দেহ দেখতে পাওয়া যায়।
এনিয়ে এলাকা জুড়ে শুরু হয় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিক সহ কাঁকরতলা ও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য থানার ওসি সাথে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন হয়। দেহ উদ্ধারে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। অবশেষে পুলিশ স্থানীয়দের সঠিক তদন্ত করে শাস্তির আশ্বাস জানালে স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমিত হয়।
মৃতদেহটি পুলিশের পক্ষ থেকে তুলে প্রথমে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, পরে ময়না তদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানা যায়।
কিন্তু কেন এই খুন?
স্থানীয়দের অনুমান অবৈধ সম্পর্কের জেরেই খুন বলে মনে করছেন তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে ইনসান নামে ওই ব্যক্তি অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল এলাকার এক মহিলার সাথে।
ওই মহিলার সাথে অন্য এর এক পুরুষও জড়িয়ে ত্রিকোণ প্রেমের আকার ধারণ করে। এই ত্রিকোণ প্রেমের পরিণতির ফলই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এক মহিলা ও এক পুরুষকে আটক করে বলে শেষ পর্যন্ত খবর পাওয়া গেছে।