মুমূর্ষু রোগীর রক্তদানে আজমাল

রবিউল ইসলাম, সাগরদিঘি : করোনা আবহে যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে রক্তের সংকট।করোনা অতিমারির কারণে সেভাবে রক্তদানশিবির না হওয়ায় রক্তের সঙ্কট চারদিকে। সরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেও পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্তের জোগান সব সময় থাকছে না।ফলে রক্তের জন্য প্রতিটি ব্লাড ব্যাঙ্কে চলছে হাহাকার। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি বেলডাঙ্গার বছর পনেরো -এর এক মেয়ে রিয়া হালদার। সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরী ‘বি-নেগেটিভ’ রক্তের প্রয়োজন হয়। পরিবারের লোকজন হন্যে হয়ে ছুটে বেড়ায় রক্তের জন্য। কোথাও রক্তের খোঁজ বা ব্যবস্থা না করতে পেরে খুবই চিন্তিত ছিল পরিবার । সময় নষ্ট না করে সেই মুমূর্ষু রোগীর ‘বি -নেগেটিভ’ রক্তের জন্য সাগরদিঘি উইনার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সাথে যোগাযোগ করেন পরিবার । তৎক্ষনাৎ সময় বিলম্ব না করে ট্রাস্টের সম্পাদক সঞ্জীব দাসের সহযোগিতায় ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যা নাজরীন সুলতানার এক ডাকে সাড়া দেয় হড়হড়ি গ্রামের আজমাল খান। রক্তদাতা সাগরদিঘি ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। রক্তদান শেষে এক মুহূর্ত দেরি না করে পরিবারের সদস্যদের কাছে রক্ত পৌঁছে দেয় ট্রাস্ট। করোনা অতিমারিতেও যে থেমে নেই রক্তযোদ্ধা বীরেরা – তা প্রমাণ করে দিলেন রক্তযোদ্ধা আজমাল খান। মুমূর্ষু রোগীর পরিবার রক্ত পেয়ে রক্তযোদ্ধা ও সাগরদিঘি উইনার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের ভূয়সী প্রশংসা করেন।