মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীতে হ্যাট্রিক তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রত সাহার

রবিউল ইসলাম ও সামিম হোসেন,সাগরদিঘি : ২রা মে রবিবার সকাল থেকে ভোট গনণা শুরু হয় পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯২টি আসনে । সব কিছুর অবসান ঘটিয়ে বঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বাংলার মসনদে অর্থাৎ নবান্নে বসতে যাচ্ছেন ।এদিন সারাদিন নজর ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভায় গুরু – শিষ্য লড়াইয়ের মধ্যে সদ্য বিজেপিতে দলবদলু শুভেন্দু অধিকারী শেষ রাউন্ডে নাটকীয় ছন্দপতন ঘটিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। পরে দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীর জয়।বলা যেতেই পারে নন্দীগ্রাম ইতিহাস হয়ে রইল। কিন্তু ভোট গণনার ধোঁয়াশা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নন্দীগ্রাম ফলাফল নিয়ে আমি আদালতে যাবো। বিতর্কের মধ্যে স্থগিত হয়ে গেলন ন্দীগ্রামের ফল প্রকাশ, হতে পারে পুনর্গণনা। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট ২২ টি বিধানসভা আসনের অধীর ‘গড়ে কংগ্রেস মুছে সাফ তৃণমূল কংগ্রেসের দাপটে ২০টি আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন দখল করে জোড়াফুল ফুটিয়ে উচ্ছ্বাস ঘাসফুল শিবিরের । বাকি দুটি মুর্শিদাবাদ আসনে বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ ও বহরমপুর আসনে বিজেপি প্রার্থী সুব্রত মৈত্র (কাঞ্চন) জয়ী হন।

    ২০১১ সালে মুর্শিদাবাদ জেলার ৬০ নং সাগরদিঘি বিধানসভায় প্রথম জোড়াফুল ফোটায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী বিধায়ক প্রার্থী সুব্রত সাহা । আবারও তিনি ২০১৬ ও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে পর পর তিনবার জয়ের ধারা অব্যাহত রেখে জয়ী হয়ে জেলায় ঘাসফুল শিবিরে হ্যাট্রিক করলেন। সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৯ জন প্রার্থী ভোটে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে প্রথম স্থানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সুব্রত সাহা, দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি প্রার্থী খাতুন মাফুজা তৃতীয় স্থানে সংযুক্ত মোর্চার কংগ্রেসের জোট প্রার্থী সেখ হাসানুজ্জামান ( বাপ্পা) ও চতুর্থ স্থানে মিম প্রার্থী নূরে মেহেবুব আলম। অবশেষে সাগরদিঘিতে শেষ হাসি হাসলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাসফুল শিবির। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা তথা বাংলা জুড়ে সবুজের সমাহার।