মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে মেধাবী ছাত্রের রহস্যমৃত্যু

  • নিজস্ব সংবাদদাতা: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জে মেধাবী ছাত্রের রহস্যমৃত্যু (Mysterious Death)। সাতসকালে ছাদ থেকে উদ্ধার হল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার রক্তাক্ত দেহ, গলায় আঘাতের চিহ্ন। খুন না কি অন্য কোনও রহস্য? এখনও ধন্দে পুলিশ। বাগুইআটিতে, দশম শ্রেণির পড়ুয়া, দুই কিশোরের খুনের ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জে (Raghunathganj) দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হল রহস্য!

চারপাশে ছিল চাপ চাপ রক্ত: শুক্রবার বাড়ির ছাদ থেকে এই অবস্থায় উদ্ধার হয় আঠেরো বছরের তরুণের মৃতদেহ। মৃতদেহের চারপাশে ছিল চাপ চাপ রক্ত। বাড়ির ছাদে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ। আত্মহত্যা না খুন? মৃত ছাত্রের নাম শাহিদ আফ্রিদি। মুর্শিদাবাদের কাশিয়াড়াঙ্গার বাসিন্দা শাহিদ। জঙ্গিপুর বয়েজ স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পড়াশোনার সুবিধার জন্য, দিন সাতেক আগে থেকে, জঙ্গিপুরের (Jangipur) গাড়িঘাটায়, মা ও দিদির সঙ্গে, এই ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করে।

    পরিবারের বয়ান: মৃত ছাত্রের মা শান্তনা বিবির কথায়, পড়াশোনার জন্য এসেছিলাম গ্রাম থেকে. কী ঘটনা ঘটে গেল, আমাদের তো কোনও শত্রু নেই। শাহিদের পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ খাওয়াদাওয়ার পর পড়াশুনা করবে বলে, পাশের ঘরে চলে যায় শাহিদ। তারপর সকালে আর ঘরে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাকে। চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর ছাদে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ।

    শাহিদের গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। মৃতের দিদি নাজরিন সুলতানা বলছেন, কে করেছে জানি না, তবে ওর বন্ধুরা ভাল ছিল না। শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন জঙ্গিপুরের এসডিপিও ও রঘুনাথগঞ্জ থানার আইসি। কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার? খুন না আত্মহত্যা? তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বেহালায় জোড়া দেহ উদ্ধার: সুরশুনায় ঘর থেকে উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। বেহালা থানা এলাকার ঘোলসাহাপুর রেল কলোনির মাঠ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। জোড়া অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

     

    বেহালার ২টি থানা এলাকায় ২ অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। সরশুনায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হল যুবকের ঝুলন্ত দেহ। ঘোলসাহাপুরে মাঠে মিলল অজ্ঞাতপরিচয়ের দেহ।

    সরশুনা থানা এলাকার রাম নারায়ণ মুখার্জি রোডের বাসিন্দা ফিরোজ গাজি। স্কুলের গাড়ি চালাতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। মাস চারেক আগে লেকটাউনের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজের। মৃতের পরিবারের দাবি,

     

     

    বিয়ের পর ওই তরুণী শ্বশুরবাড়িতে থাকতে চাইতেন না। তিনি বাপের বাড়ির কাছে থাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। দিনকয়েক আগে রাগ করে বাপের বাড়িতে চলে যান তরুণী।

     

    তারপরই বৃহস্পতিবার সকালে মেলে যুবকের ঝুলন্ত দেহ। বিদ্যাসাগর হাসপাতাল নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের ঠাকুমা ফতেমা বিবির কথায়, শ্বশুরবাড়ির লোক বিয়ের পর থেকেই ঝামেলা করত। বউ বাপের বাড়ি চলে যায়। সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে।