নদীয়ার শান্তিপুরের রাজপথে আওয়াজ উঠল ভাইরাসমুক্ত তৃণমূল গঠনের

 

    নিজস্ব প্রতিবেদক, নতুন গতি, নদীয়া; দলত্যাগী বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের অনুগামীদের কাছে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল আজ! জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ড: প্রসেনজিৎ মন্ডল, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নদীয়া জেলার সভাপতি তথা চাকদহর বিধায়ক রত্না ঘোষ কর, রাজ্যের অপর এক মন্ত্রী তথা তৃণমূল নদীয়া জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাস, সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে থাকা জুলফিকার আলী , কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি জয়ন্ত সাহা আজ শান্তিপুর তৃণমূল ভবন থেকে কর্মীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য পদযাত্রায় হাটলেন বেশ কিছুটা। মিছিলে আদিবাসী সম্প্রদায়ের নাচ, বেলুনের গেট, এবং 5 জন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিশেষ নজর কেড়েছে। পুরনো দিনের বহু তৃণমূল কর্মী, কিছুদিন আগে পর্যন্ত অজয় অরিন্দম শিবিরের বিভাজনে শিকার হয়ে বসে যাওয়া তৃণমূল কর্মীদের দেখা গেল মিছিলে। এরপর শান্তিপুর স্টেশন রেল বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি পথসভায় বক্তব্য রাখেন সকলে। রানাঘাট জেলা সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেস ড: প্রসেনজিৎ মন্ডল জানান ভাইরাস মুক্ত তৃণমূল রক্ষা করবে ছাত্র-যুব। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানান কুমারেশ চক্রবর্তী, অরবিন্দ মৈত্র সুব্রত ঘোষ এরা বহুদিন থেকে দলের একনিষ্ঠ কর্মী, দলের চরম সংকটময় মুহূর্তে অজয় দেও ছিলো না!
    অপর এক মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর , গতকাল শান্তিপুর তৃণমূল ভবনে জেলার যুব নেতা সৌমিত প্রামাণিক কে মারধর এবং শহর সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র কে হেনস্থা ব্যাপারে দল কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বলেই অভিমত পোষণ করেন।
    জুলফিকার আলী বলেন শান্তিপুরের মানুষ নিজেদের ভুল শুধরে নিতে জানে, আগামীতেও তারা মুখ্যমন্ত্রী পাশেই থাকবে। তবে দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজও যারা উপস্থিত হলেন না, তাদের বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে দল।