|
---|
নিজস্ব প্রতিনিধি : কাল থেকে শুরু হোলো জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। চিকিৎসা পরিষেবার প্রভুত উন্নয়ন এবং রাজ্যের শিশুদের পুষ্টিকর আহারের দিকে নজর রেখে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সকল উদ্যোগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এইসব উদ্যোগের ফলে শিশু মৃত্যু এবং প্রসুতীকালীন মৃত্যুর হার কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত কন্যাশ্রী প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য অপুষ্টি কমানো।
এক ঝলকে দেখেনিন, বৃহত্তম শিশু পুষ্টির প্রকল্প: আইসিডিএস প্রকল্পের অধীনে বাংলায় সর্ববৃহৎ শিশু পুষ্টির প্রকল্প আছে, ছ বছরের কম বয়সের ৭৬ লক্ষ শিশু, ১৪ লক্ষ গর্ভবতী মহিলা, মা আছেন এই প্রকল্পের অধীনে। প্রোটিন সমৃদ্ধ রেডি টু ইট খাদ্য দেওয়া হয় অপুষ্টি পীড়িত শিশুদের। রান্না করা গরম খাবার দেওয়া হয় শিশু, গর্ভবতী মহিলা ও মাদের।
খাদ্য সাথী প্রকল্পে বিশেষ সুবিধা: খাদ্যসাথী প্রকল্পে খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর নিউট্রিশানাল রিহ্যাবিলিটেশান সেন্টারে ভর্তি মা ও শিশুদের বিশেষ কুপন দেয়। মা ও শিশু ঐ কুপনের মাধ্যমে পাঁচ কিলো চাল, আড়াই কিলো আটা, এক কিলো মসুর ডাল এবং এক কিলো ছোলা পেয়ে থাকে।
শিশু মৃত্যু এবং প্রসুতীকালীন মৃত্যুর হার কমছে ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বাড়ছেঃ গত আট বছরে সারা রাজ্যে শিশু মৃত্যু এবং প্রসুতীকালীন মৃত্যুর হার কমেছে। প্রসুতীকালীন মৃত্যুর হার ২০১১ সালে ছিল প্রতি ১ লক্ষে ১১৩ যা ২০১৮ সালে কমে হয় ১০১। সেখানে জাতীয় গড় ১৩০। শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৫ যেখানে জাতীয় গড় এর অনেক বেশী, ৩৪। প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ২০১০ সালে ছিল ৬৫ যা ২০১৮-১৯ সালে বেড়ে ৯৭.৫ হয়েছে।
মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবঃ স্বাস্থ্য দপ্তর সারা রাজ্যে ১৪টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরী করেছে। এই হাবে মা ও শিশুদের উন্নতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়। এই ১৪টি হাবের মধ্যে ৯টি কাজ চালু করেছে।
স্বাস্থ্য পরিষেবার মানোন্নয়নঃ ৬৮টি প্রান্তিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকার মা, সদ্যোজাতদের জন্য বিশেষ কর্মসুচী নেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিতে বছরে ৩০০০ এর বেশী প্রসব হয়।
কন্যাশ্রীঃ আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত কন্যাশ্রী প্রকল্পের ছটি প্রাথমিক উদ্দেস্যের দুটি হল, এক, বাল্য বিবাহ কম করে বিয়ের সময় মেয়েদের গড় বয়স বাড়ানো ফলে বাড়বে তাদের প্রথম প্রসবের সময় বয়স এবং কমবে শিশু মৃত্যু এবং প্রসুতীকালীন মৃত্যুর হার, দুই, কন্যা শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার কমানো।