নজরুলের কারাজীবন নিয়ে আলোচনা

নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘নজরুল শুধু বিদ্রোহী নন, তিনি একইসঙ্গে প্রেমিকও। তাঁর একহাতে বাঁশের বাঁশরী অন্য হাতে রণতুর্য। তিনি একদিকে শ্যামাসংগীত লিখছেন আবার সৃষ্টি করছেন ইসলামী গজল। ব্যক্তি জীবনেও তিনি সম্প্রীতির নিদর্শন রেখেছেন।’ হিঙ্গলগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ উদ্যোগে ও আই.কিউ.এ.সি-র সহযোগিতায় এক বিশেষ আলোচনাসভায় কথাগুলি বলেন পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌরেন বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা সভার সভাপতি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুনমুন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘সারাজীবন বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে থেকে নজরুলকে সৃষ্টি করতে হয়েছে। জেলে যেতেও হয়েছে।’ কলেজের অধ্যক্ষ শেখ কামাল উদ্দীন জানান, ২৩শে নভেম্বর কাজী নজরুল ইসলামকে কুমিল্লা থেকে ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা লেখার জন্য অ্যারেস্ট করা হয়। কিন্তু জেলেও তাঁর লেখনীকে স্তব্ধ করা যায়নি। সেই দিনটিকে স্মরণ করতে এদিনের আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টির প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করেন হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য সুদীপ কুমার মণ্ডল। কলেজের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা বনানী চৌধুরী, মনামী মুখার্জি, ঈশিতা দে, পারমিতা সরকার, মায়া মজুমদার, দেবলীনা ব্যানার্জি, পারমিতা হালদার ও স্বপন কুমার পালের সম্মিলিত কণ্ঠে গীত ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানের সঙ্গে শিক্ষক দেবপ্রসাদ ঘোষের নৃত্যের মাধ্যমে আলোচনা সভার সূচনা হয়। আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রী চৈতন্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুব্রত চ্যাটার্জী, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক অনির্বাণ সরকার, কলেজের আইকিউএসি-র কোঅর্ডিনেটর শামীম ভড়, মহাবতুন্নেসা খাতুন, আব্দুস সামাদ প্রমুখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ইংরাজী বিভাগের অধ্যাপক মনামী মুখার্জি। সমগ্ৰ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অধ্যাপক কিঙ্কর মণ্ডল। l