|
---|
লুতুব আলি, ২ ডিসেম্বর : অবিভক্ত ভারতের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম একটি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। পরাধীন ভারতে নজরুলের বিদ্রোহী কবিতাটি স্বাধীনতা আন্দোলনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। নজরুলের জ্বালাময়ী লেখনি দেখে ইংরেজ সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিল। সেই কারণে বিদ্রোহী কবিতাটি লেখার দায়ে কবিতাটি ব্যান্ড তো বটে নজরুলকে গ্রেফতার করে জেলে ভরে রাখা হয়েছিল। নজরুল ইসলামের বর্ণময় জীবন ও তাঁর বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করলো মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে প্রকাশিত সঞ্চয়ন পত্রিকা। নজরুল ইসলামের নাতনি বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী দোলনচাঁপা নজরুল ফাউন্ডেশন এর কর্ণধার সোনালি কাজী এই অনুষ্ঠানে পৌরহিত্য করেন। নজরুলের অপ্রকাশিত কথা এবং তাঁর গান গেয়ে সোনালি কাজী অনুষ্ঠানের উৎকর্ষতা বাড়াতে সক্ষম হন। এক সাক্ষাৎকারে সোনালী কাজী জানান, শুধু তাঁর বিদ্রোহী লেখনি ই নয়, প্রেম, অপ্রেম, বিষাদ সম্প্রীতির ওপর যে মূল্যবান লেখনি কবি রেখে গেছেন। সেগুলি নিয়ে বৃহত্তর ভাবে গবেষণা করা দরকার। নজরুলের সমস্ত লেখনি ই চিরন্তন। সঞ্চয়ন পত্রিকার সম্পাদক বর্ষিয়ান শিশির কুমার সাহা বলেন, প্রায় তিন দশক ধরে সঞ্চয়ন পত্রিকা সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রসার ঘটিয়ে চলেছে। বর্তমানে সঞ্চয়ন পত্রিকা বিংশতি তম বিশেষ সংখ্যায় নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। জলঙ্গীর পদ্মা নদীর ধারে পদ্মাভবনে আয়োজিত মনন শীল অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের সমাগম ঘটে। অনুষ্ঠানের সকলকে অব্যর্থনা জানান পত্রিকার সম্পাদিকা বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও কবি কৃষ্ণা মন্ডল, মোহাম্মদ সিরাজুল হক, সভাপতি আছিয়া বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জলঙ্গীর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শোভন দাস, জলঙ্গী থানার ও.সি সৌম্য দে, ঝিঙ্গে ফুল পত্রিকার সম্পাদক সাহাবুল ইসলাম, উর্বর মন পত্রিকার সম্পাদক রেজাউল করিম হক, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক মদন সরকার, বিশিষ্ট সাহিত্যিক চৈতালি মুখোপাধ্যায়। সংগীত পরিবেশন করেন নজরুল ইসলামের উত্তরসূরী কল্লোল কাজী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সত্য মন্ডল, শশাঙ্ক মন্ডল প্রমুখ। এছাড়াও মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠান ও বাঁশি বাজানোর হৃদয়গ্রাহী অনুষ্ঠান ছিল।