নজরুল স্মৃতিধন্য কৃষ্ণনগর ‘গ্রেস কটেজ ‘এ ১২৫ জন্ম বর্ষে স্মরন

আয়ুব আলি, নতুন গতি : নদীয়া জেলা লোকসংস্কৃতি পরিষদ গত ২২ শে জুলাই এক ভাবগম্ভীর পরিবেশে কবিতার স্রোতে,কথার মালায়,গানে গানে কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগরের ‘ গ্রেস কটেজ ‘ এ অনুষ্ঠিত হল ৪ ঘন্টা ব‌্যপি নজরুল স্মরণে ‘অগ্নিবীণা পদক সন্মান ‘ প্রদান ও কথায় কবিতায় গানে নজরুল যেন মূর্ত হয়ে উঠেছিলেন ‘গ্রেস কটেজ ‘ প্রাঙ্গণে।বাগিচায় বুলবুলি তুই দিসনে আজি দোল, শূন্য এ বুকে পাখি মোর ফিরে আয়,বলরে জবা বল – প্রভিতী গান বিদ্রোহী কবিতায় নবীন কন্ঠে বিদ্রোহীর মেজাজ ,কবির আজীবন আজীবন আর্থিক সঙ্কট,দূ:খ্য বেদনা, মানবিকতা,নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, ধর্মীয় সম্প্রীতি সব আলোচনায় উঠে আসে। যারা এই অনুষ্ঠানে কথায়, চিন্তায় ,গানে কবিতায় মন ভরিয়েছিলেন তারা হলেন তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায়, শর্মিলা মাঝি, দেবকী দুলাল চক্রবর্তী, সুপ্রিয়া ঘোষ,রীনা দে, আব্দুল রউফ,পাপড়ি দাস,পাপড়ি দত্ত, প্রদীপ কুমার দে, ধ্রুব হালদার, সরস্বতী মন্ডল,কল্যানী দেবনাথ, শঙ্কর ঘোষ, মধুমিতা গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক কবি তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায় ‘ গ্রেস কটেজের ‘ নাম ‘গ্রেস কটেজ নজরুল শক্তি ‘ বা ‘নজরুল সুধা কুঞ্জ ‘ নামাঙ্কিত করার প্রস্তাব করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং অনুষ্ঠানের সংগঠক উপস্থিত সমস্ত কবি ,বাচিক শিল্পী,নজরুল প্রেমীরা প্রস্তাব সমর্থন করেন। এছাড়াও ‘ গ্রেস কটেজ ‘ ঢোকার মুখে বড় রাস্তায় ‘ গ্রেস কটেজ ‘ যাওয়ার রাস্তার নির্দেশক চিহ্নের উপস্থিতি ফলক থাকা জরুরি বলে সকলে অভিমত পোষণ করেন। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে পরিচালনা করেন সাংবাদিক যে বিধান ঘোষ। কবি তুষার কান্তি মুখোপাধ্যায় ‘সুজন বাসর ‘ কর্তীপক্ষ , কৃষ্ণনগরবাসী ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্তীপক্ষ কে ধন্যবাদ জানান।