|
---|
নিজস্ব সংবাদদাতা : ‘একশো পঁচিশ বছর পরে কাজী নজরুল ইসলাম সমান প্রাসঙ্গিক। বিশ্বের মেহনতি মানুষের দিকে তাকালে তাঁকে আরও বেশি করে মনে পড়ে।’ কবির ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধন করতে গিয়ে কথাগুলি বলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি, বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। নজরুল চর্চা কেন্দ্র, শ্রীচৈতন্য মহাবিদ্যালয় ও আদর্শ কলেজ অফ এডুকেশন এর যৌথ আয়োজনে এই সেমিনারে মুখ্য বক্তা বাংলাদেশের মানারত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সাবুর খান কাজী নজরুল ইসলামের জীবন ও সৃষ্টির বহুমুখীতা নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মীর রেজাউল করিম, সাহিত্যিক বিনোদ ঘোষাল। অধ্যাপক করিম নজরুলের কবি হয়ে ওঠার কাহিনী শোনান। বিনোদ ঘোষাল নজরুলের বন্ধুত্ব নিয়ে বলেন। সভাপতিত্ব করেন পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহিনীমোহন সরদার। শ্রীচৈতন্য মহাবিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামের নামকরণ করা হয় ‘কাজী নজরুল ইসলাম সভাঘর’। নজরুল চর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে প্রদত্ত কবির আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীসহ সভায় উপস্থিত বিশিষ্ট অতিথিরা। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অধ্যাপক-ছাত্রছাত্রী মিলিয়ে প্রায় একশো পঞ্চাশজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আশিজন প্রতিনিধি গবেষণা পত্র পাঠ করেন। সভার শুরুতে শ্রীচৈতন্য দেবের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন শ্রীচৈতন্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুব্রত চ্যাটার্জী। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক প্রসেনজিৎ মহাপাত্র, আদর্শ কলেজ অফ এডুকেশনের ডিরেক্টর হাফেজ মহঃ আবু তাহির, অধ্যাপক আজহারউদ্দীন মোল্লা, নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ও সম্পাদক যথাক্রমে শেখ কামাল উদ্দীন ও শাহজাহান মণ্ডল, সরোজিনী নাইডু কলেজ ফর উইমেনের অধ্যক্ষ স্বাগতা দাস মোহান্ত, পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সোমা ভদ্র রায়, শ্রীচৈতন্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়ালি দে মৈত্র প্রমুখ। নজরুল চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি শেখ কামাল উদ্দীন জানান, “আলোচনা সভায় পঠিত নির্বাচিত প্রবন্ধগুলি নিয়ে একটি সংকলন গ্ৰন্থ শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।”