নজরুলের গানে দুর্গা বরণ লন্ডনের মাটিতে আগমনী রেকর্ডিং

রামিজ আলি আহমেদ : ‘প্রবাসী’ এই কথা কি কোথাও কোনো দূরত্ব বোঝায়!প্রবাসে থেকেও নিজের সংস্কৃতির ধারক-বাহক হওয়া মনে হয়না বিশেষ কঠিন কাজ বলে।ইচ্ছাটাই সব।ঠিক যেমন লন্ডনে থেকও কলকাতার মাটির টান, মাটির গান সোমা দাস ভোলেননি।রীতিমতো নাড়া বেঁধে করে চলেছেন সঙ্গীতচর্চা।সামনে পুজো বিদেশে থাকলেও পুজোর গানে এবার নজরুলের আগমনী গান নিয়ে আসছেন সোমা দাস।এর আগে রূপঙ্করের সুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একুশের গান,দেবজ্যোতি মিশ্রের সঙ্গীত আয়োজনে রবীন্দ্রসঙ্গীতের অ্যালবাম, জয় সরকারের সুরে ফিরে আসার গান আধুনিক বাংলা গান, কলকাতা স্ট্রিট মিউজিক ফেস্টিভ্যালে সহযোগীতায় থাকেন এবার পুজোয় নজরুলের এক স্বল্প শ্রুত আগমনী গান আগামী মহালয়ায় প্রকাশ পেতে চলেছে।গানটার রচনাকাল ঠিক জানতে পারা যায়না।গানটা ভৈরবী রাগে আধারিত,তাল দাদরা।দুই ভিন্ন স্বরলিপি অনুযায়ী মধ্যলয়,ধীরলয়ে গানটা গাওয়া হয়ে থাকে।”দশহাতে ওই দশদিকে মা, ছড়িয়ে এলো আনন্দ” এই গানটা নজরুলের গান গুলোর মধ্যে প্রচলিত গান গুলোর মতো নয়।সোমা দাস বললেন,” পুজোর সময় প্রবাসে কাটলেও মজা করেই কাটে।পুজোর একটা গান না করলে কেমন যেন পুজোটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।গানে গানে তাই মাটির সাথে একটি যোগাযোগ স্থাপন করতে ইচ্ছা হয়।এবার আর নতুন সুরে নয়,নজরুলের একটা আগমনী গানেই এবার পুজোর গানের ডালি সাজিয়েছি।গানের ভিতর থেকে ‘শরৎ আলোর কিরণ মাখি’ লাইনটা নিয়ে এই গানের টাইটেলটা তৈরি করেছি।কলকাতায় বিশিষ্ট যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা এই গানের ট্র্যাক তৈরি করেছেন।সঙ্গীত আয়োজনে নবীন চ্যাটার্জী,বেহালায় দূর্বাদল চ্যাটার্জী,সেতারে রাহুল চ্যাটার্জী,তবলায় প্রবীর চ্যাটার্জী,বাঁশীতে সুবীর রায়,অর্গানে সুব্রত বসু,গীটারে দেবাঞ্জন ( লাল্টু),পারকাশানে অনুপ গানটা আরো শ্রুতিমধুর করে তুলেছে।”